দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ নড়বড়ে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে আজ নিজেদের টানা চার নম্বর জয় তুলে নিতে মাঠে নেমেছিল এটিকে মোহনবাগান। দলে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ছিল দুটি। নিজের ফর্মের তুঙ্গে না থাকা জয়েশ রানের বদলে গ্লেন মার্টিন্সকে প্রথম একাদশে সুযোগ দেন হাবাস। আর গত ম্যাচে পরিবর্ত হিসাবে নেমে দুর্দান্ত ফুটবল খেলা ব্র্যাড ইন্মান চলতি মরশুমে প্রথমবার জায়গা পেয়েছিলেন প্রথম একাদশে। এছাড়া প্রথম ম্যাচের পর আবার প্রথম একাদশে ফিরেছিলেন এডু গার্সিয়া। অপরদিকে লাল কার্ড দেখার পর এক ম্যাচের সাসপেনশন কাটিয়ে জামশেদপুরের গোলরক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছিলেন রেহনেশ টিপি। তার সাথে সাথে প্রথম একাদশের আক্রমণভাগে ভালস্কিসের সাথে গত ম্যাচে ভালো ফুটবল খেলা উইলিয়াম লালনুনফেলাকে জুড়ে দিয়েছিলেন ওয়েন কোল।
ম্যাচের প্রথম দশ মিনিট একটু এলোমেলো খেলা হলেও তারপর থেকে আক্রমণ, প্রতিআক্রমণে খেলা জমে ওঠে। ম্যাচের প্রথম সুযোগ আসে জামশেদপুরের কাছে। উইলিয়াম এটিকে মোহনবাগানের অফ সাইড ট্র্যাপ বিট করে বল সাজিয়ে দিলে সেই বল সরাসরি গোলরক্ষকের কাছে মারেন মবাসির রহমান। তারপর সেট পিস, ওপেন প্লে মিলিয়ে বেশ কয়েকটি সুযোগ চলে আসে সবুজ মেরুণ শিবিরের কাছেও। সবকটা আক্রমণেরই প্রাণকেন্দ্র ছিলেন এডু গার্সিয়া। কিন্তু শেষপর্যন্ত ম্যাচের ২৯ মিনিটে এসে এইটর মনরয়ের কর্নার থেকে দুর্দান্ত হেডে টুর্নামেন্টে নিজের চার নম্বর গোল করে জামশেদপুরকে এগিয়ে দেন নেরিজাস ভালস্কিস। গোলটির ক্ষেত্রে ডিফেন্সে সন্দেশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তার ঠিক দুই মিনিটের মধ্যে ফের ভালস্কিসের হেড ধেয়ে আসে এটিকে মোহনবাগানের গোলের দিকে। দুর্দান্ত সেভ করে নিশ্চিত পতনের হাত থেকে এটিকে মোহনবাগানকে বাঁচান অরিন্দম ভট্টাচার্য্য। এরপর দুই দলই বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করে। প্রথমার্ধের একদম শেষ দিকে গোলের খুব কাছাকাছি এসেও অরিন্দমের দক্ষতায় ব্যর্থ হন জামশেদপুরের জ্যাকিচন্দ সিং। চলতি আইএসএলে প্রথমবারের জন্য প্রথমার্ধে পিছিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরে এটিকে মোহনবাগান।
আরও পড়ুন:- জমে উঠেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রূপ পর্ব, নেইমার না কাভানি, কে পৌঁছবে নকআউটে?
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণে উঠে এটিকে মোহনবাগান। অল্পের জন্য দু বার ভালো জায়গায় থেকেও গোল করতে ব্যর্থ হন রয় কৃষ্ণা। গ্লেন মার্টিন্সের দূরপাল্লার শট দুরন্তভাবে বাঁচান জামশেদপুর গোলকিপার টিপি রেহনেশ। ৬০ মিনিটে গ্লেনকে তুলে মনবীরকে নামান হাবাস। ৬৪ মিনিটে ভালস্কিসের ফ্রি কিক ফের একবার দুর্দান্ত ভাবে বাঁচায় অরিন্দম। কিন্তু তার দু মিনিট পরেই কর্নার থেকে আসা বলে মবাসিরের ফ্লিক পুরো মোহনবাগান ডিফেন্সকে ফাঁকি দিয়ে পড়ে ফাঁকায় দাঁড়ানো সেই ভালস্কিসের সামনে। গোল করতে ভুল করেননি লিথুয়ানিয়ান স্ট্রাইকার। ৭১ মিনিটে কার্ল ম্যাকহাগকে তুলে শেখ সাহিলকে নামান। তার ঠিক দু মিনিটের মধ্যে সাহিলের শট বাঁচাতে হয় রেহনেশকে। ৮০ মিনিটে লাইন্সম্যানের ভুলে গোল করে যান রয় কৃষ্ণা। যদিও তার কাছে বল যখন ডেলিভারি করা হয় তখন ফিজিয়ান স্ট্রাইকার অফসাইড ছিলেন। তারপরে মরিয়া আক্রমণে ওঠে জামশেদপুর। ফলস্বরুপ ফাঁকা জায়গা দিয়ে কাউন্টারে উঠতে থাকে এটিকে মোহনবাগান। ৮৪ মিনিটে সহজতম সুযোগ নষ্ট করেন রয় কৃষ্ণা। ৮৮ মিনিটে মনবীরের শট দুর্দান্তভাবে বাঁচান রেহনেশ। শেষপর্যন্ত ২-১ ফলে হেরেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয় হাবাসের ছেলেরা।