দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ অবশেষে লাল হলুদ সমর্থকদের চিন্তার অবসান ঘটতে চলেছে। শেষপর্যন্ত স্ট্রাইকার আসতে চলেছে এসসি ইস্টবেঙ্গল ক্যাম্পে। ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা ২২ বছর বয়সী তরুণ নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ব্রাইট এনোবাখরে-কে দলে নিতে চলেছে রবি ফাওলাররা। এখনও অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী ভিসা সমস্যা মিটে গিয়েছে ব্রাইটের এবং তিনি ভারতে পৌঁছবেন মঙ্গলবারের মধ্যেই। সেক্ষেত্রে তিনি হয়তো লাল-হলুদ জার্সি গায়ে মাঠে নামবেন সম্ভবত পরের বছরে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ম্যাচে ওড়িশার বিরুদ্ধে।
আক্রমণ এবং মাঝমাঠ দুই জায়গাতেই খেলতে সমান স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন ব্রাইট। সর্বশেষ তিনি মাঠে নেমেছেন গ্রিসের ক্লাব এইকে এথেন্সের হয়ে। তাদের হয়ে ইউরোপা লিগের যোগ্যতা অর্জন পর্বের স্কোয়াডেও ছিলেন তিনি। এছাড়া লিগে তাদের হয়ে একটিই ম্যাচে পরিবর্ত হিসাবে খেলতে নেমেছিলেন। ১৪ মিনিটের জন্য মাঠে নেমেই ওই ম্যাচে একটি গোল করেছিলেন ব্রাইট।
২০১৫ থেকে ২০২০ অবধি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব, উলভ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের অঙ্গ ছিলেন তিনি। যদিও বেশির ভাগ সময়ই লোনে কাটিয়েছেন ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ডিভিশনের বেশ কিছু ক্লাবে। অসম্ভব প্রতিভাবান হওয়া সত্ত্বেও তিনি কোনও ক্লাবেই বেশি সময় মাঠে নামতে পারেননি। তার একটাই কারণ এবং সেটি হল তার বেহিসাবি জীবনযাপন। প্রতিভার অভাব না থাকলেও ট্রেনিংয়ে গা ঘামাতে প্রচন্ড অনীহা। একসময় উইগান অ্যাথলেটিক্সেও লোনে ছিলেন তিনি।
উইগান অ্যাথলেটিক্সের সেখানকার সতীর্থরা জানিয়েছেন যে ট্রেনিংয়ে বার বার দেরি করে এলেও, টিম মিটিংয়ে অনিয়মিত হলেও তাকে কিছু বলতেন না দলের কোচ। কারণ তার প্রতিভা। তার সতীর্থদের মতে ঠিকঠাক দ্বিতীয় ডিভিশন বা চ্যাম্পিয়নশিপের যে স্ট্যান্ডার্ড তার চেয়ে অনেক বেশি প্রতিভাবান ছিলেন ব্রাইট। এখন দেখার এই খামখেয়ালি নাইজিরিয়ানকে কিভাবে সামলান ফাওলার এবং তার সহকারীরা।