আজ আপনাদের এক ফুটবল জাদুকরের কাহিনী শোনাবো। এই জাদুকর মেসি বা রোনাল্ডো নন কিন্তু তাঁদের থেকে কমও নন, ফুটবল মাঠে একশো তিরিশ কোটি ভারতীয়র আশা ভরসার নাম তিনি, হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন তিনি ক্যাপ্টেন-লিডার-লেজেন্ড তিনি সুনীল ছেত্রী।
শুরুর দিকে বাইচুং ভুটিয়াকে পাশে পেলেও বিগত এক দশক ধরে একা কুম্ভ হয়ে ভারতকে জিতিয়েছেন অনেক ম্যাচই, কিন্তু একা আর কতই বা করা যায় ফুটবলটা যে এগারো জনের খেলা তাই দেশের জার্সি গায়ে সাফল্যের থেকে ব্যার্থতাই বেশি, কিন্তু আপামোর ভারতবাসীর গর্ব হয় যখন আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় সুয়ারেজ-নেইমারদের পিছনে ফেলে রোনাল্ডো-মেসির সাথে পাল্লা দেন তিনি।




সুনীল সমন্ধে বলতে গিয়ে তার একসময়ের সতীর্থ দীপেন্দু বিশ্বাস বলছিলেন, ‘সুনীল যখন মোহনবাগানে আসে তখন ওর খুবই কম বয়স, তবে প্রথম দেখাতেই বুঝে গিয়েছিলাম সে বাকিদের থেকে আলাদা। প্রথমদিন থেকেই ওর মধ্যে নিজেকে প্রমান করার জেদ ছিল চোখে পরার মতো, সব সময় ওর মধ্যে নতুন কিছু শেখার তাগিদ দেখা যেত।’
এই প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক আরও জানান, ‘একজন স্ট্রাইকারের পক্ষে সুনীলের চেহারাটা আদর্শ ছিল না কোনদিনই, কিন্তু সে কঠোর পরিশ্রম আর আত্মত্যাগের মাধ্যমে নিজেকে এই স্থানে উপনীত করেছে যে আজ গোটা দেশ তার জন্যে গর্বিত, বলতে দ্বিধা নেই এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা সুনীল।’
দীপেন্দুর ভাষায় 2002 সালে মোহনবাগানে পথ চলা শুরু করা সেদিনের সেই ছোট্ট সুনীল আজ বেঙ্গালুরু এফসি’র ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক। তৃতীয় ভারতীয় ফুটবলার হিসেবে ইউরোপের ক্লাবে খেলা সুনীল দেশের হয়ে জয় করেছেন 2007, 2009, 2012 সালে নেহেরু কাপ, 2011, 2015 সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ এবং 2008 সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ।
যখন তার সমসাময়িক বাকি সব ফুটবলারই বুট জোড়া তুলে রেখেছেন চার বারের এআইএফএফ বর্ষসেরা সুনীল ছত্রিশেও মাঠে সমান তালে আগুন ঝরাচ্ছেন, তাইতো তাঁর তুলনা শুধু তাঁর সাথেই চলে। শুভ জন্মদিন ক্যাপ্টেন।