দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো : বিতর্কের ছায়া গোয়ান ফুটবলে, করোনা আবহের মধ্যেই ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগে উত্তাল গোয়ান প্রফেশনাল লিগ (জিপিএল)। লন্ডনের সংস্থা স্পোর্টস রাডার, যারা গোটা বিশ্বে ফুটবলের উপর চলা জুয়া এবং বাজি সংক্রান্ত বিষয়গুলি পর্যবেক্ষণ করে, তারা গত মরশুমে জিপিএলের ছয়টি ম্যাচের ফলাফল নিয়ে এক রিপোর্টে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
যে ছয়টি ম্যাচের কথা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে সেই ম্যাচ গুলি হলো:
16 অক্টোবর 2019 গার্ডিয়ান এঞ্জেল বনাম পাঞ্জিম ফুটবলার্স
1 নভেম্বর 2019 ডেম্পো বনাম কালাঙ্গুট এসোসিয়েশন
12 নভেম্বর 2019 পাঞ্জিম ফুটবলার্স বনাম স্পোর্টিং ক্লুব দে গোয়া
12 নভেম্বর 2019 গার্ডিয়ান এঞ্জেল বনাম ডেম্পো
15 নভেম্বর 2019 গার্ডিয়ান এঞ্জেল বনাম এফসি গোয়া
19 নভেম্বর 2019 সালগাওকার বনাম গার্ডিয়ান এঞ্জেল
অভিযোগ গার্ডিয়ান এঞ্জেল, কালাঙ্গুট এসোসিয়েশন এবং পাঞ্জিম ফুটবলার্স বুকিদের সাথে যোগসাজোস করে ইচ্ছাকৃত ভাবে তাদের ম্যাচ গুলি জেতার চেষ্টা করেননি। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘স্পষ্ট প্রমান পাওয়া গিয়েছে যে জুয়ায় লাভবান হওয়ার জন্যে ম্যাচের ফলাফল অনৈতিক ভাবে প্রভাবিত করা হয়েছে।’
স্পোর্টস রাডার এই বিষয়ে এশীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা এএফসির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এএফসির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে এই রিপোর্ট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়া মাত্রই ফেডারেশন নড়েচড়ে উঠে, এবং খবর অনুযায়ী ফেডারেশনের ইন্টেগ্রিটি অফিসার জাভেদ সিরাজ ইতিমধ্যেই এর তদন্তে নেমেছেন। গোয়া ফুটবল সংস্থার কাছে এই বিষয়ে রিপোর্টও তলব করেছেন এই প্রাক্তন সিবিআই অধিকর্তা।
সব থেকে বেশি সন্দেহের তীর যে ক্লাবের দিকে সেই গার্ডিয়ান এঞ্জেলের সভাপতি জন্সি ফার্নান্ডেজ এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘অনেক দলের নামই শোনা যাচ্ছে, আমি জানি না এর সাথে কারা যুক্ত আর কারা যুক্ত নয়। তবে আমি এটা বলতে পারি এই ধরনের জিনিস গার্ডিয়ান এঙ্গেলে কোনোদিন হবে না। আমি আমার কোচ, খেলোয়াড় এবং ম্যানেজমেন্টকে খুব ভালো করেই জানি। কেউ দোষী প্রমান হলে তাকে রেয়াত করা হবে না।’
কালাঙ্গুট এসোসিয়েশনের সভাপতি আলারিও লোবোর মতে তাদের সাথে ডেম্পো সালগাওকারের মতো বড় দল গুলির খেলা হলে তারাই যে জিতবে এটাই স্বাভাবিক এতে সন্দেহজনক কিছুই নেই। গোটা ঘটনায় এখনো গোয়া ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি আলেমাও চার্চিলের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।