সোমবার কেন্দ্রীয় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীকে ‘জন্মদিনের সেরা উপহার’ দেন যখন তিনি জানান, তৃণমূল স্তরে প্রতিভা অন্বেষণ করতে ভারত সরকার স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার অধীনে আঞ্চলিক স্তরে স্কাউটিং কমিটি গঠন করতে আগ্রহী।
ফুটবল দিল্লির ই-সামিটের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন উপলক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রিজিজু জানিয়েছেন কমিটি গুলি খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পের আওতায় দেশজুড়ে অনূর্ধ্ব -১২ খেলোয়াড়দের চিহ্নিত করার লক্ষ্যে কাজ করবে। মন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেন, স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া প্রজেক্টটি অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সহযোগিতা নিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে এবং গোল্ডেন বেবি লিগ সারা দেশ জুড়ে খেলা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘দিল্লির ফুটবল অবকাঠামোগত উন্নতি করার জন্য আমি লেফটেন্যান্ট জেনারেল এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করব।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘ভারতকে ফুটবলে বিশ্বশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য গোটা দেশে ফুটবল সংস্কৃতি আনার প্রয়োজন।’
সোমবার সুনীল ছেত্রীর ছত্রিশতম জন্মদিন ছিল। এই দিনটি দিল্লি ফুটবল দিবস হিসাবেও পালিত হয়। দিল্লির সুনীল মোহনবাগানের হয়ে নিজের জাত চেনানোর আগে দিল্লীর স্থানীয় ক্লাবগুলির হয়েই ভারতীয় ফুটবল মঞ্চে তার আগমনের জানান দিয়েছিলেন।
ভারত জুড়ে প্রতিভা চিহ্নিত করার জন্য ক্রীড়া মন্ত্রীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সুনীল বলেছেন, ‘যদি প্রতিটি প্রতিভা চিহ্নিত করা যায় এবং ভালভাবে লালন করা হয় তবে ভারতীয় ফুটবলের অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এটাই আমার জন্যে জন্মদিনের সেরা উপহার যা আমি চাইতে পারি।’
এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ডেটো উইন্ডসর জন বলেছেন, ভারতীয় ফুটবলের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে এআইএফএফকে অবশ্যই রাজ্য ফুটবল সংস্থা গুলিকে একসাথে নিয়ে কাজ করতে হবে। এটি এখনও পর্যন্ত ফেডারেশনের কাজ করার ক্ষেত্রে একটি বড় অসুবিধার কারণ।
উইন্ডসর জন বলেছিলেন, “১৯৫১ সালে দিল্লীর মাটিতেই প্রথম এশিয়ান গেমসে ভারত আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথম সাফল্যের স্বাদ পেয়েছিলো। দিল্লীর মধ্যে অন্য যে কোনো বৈশ্বিক ফুটবল শহরের মতো ফুটবল শহর হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।’ভারত ইরানকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেবার এশিয়ান গেমসের স্বর্ণ পদক জিতেছিল।