ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: জল্পনা যদিও আগেই তৈরি হয়েছিল, এবার তাতে আগুনে ঘি ঢালার কাজটি করলো, ফুটবল তারকার করা ফ্যাক্সের দুটি লাইন। যদিও ক্রীড়ামহলে মেসির চুপ থাকাকে কেন্দ্র করে তাঁর আর বার্সেলোনাতে না খেলার ইঙ্গিত আগেই বেশ অনেকটা জলঘোলা করছিল। এবার তা আরও স্পষ্ট হলো। বিশেষ করে বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট জোসেফ বার্তোমিউকে পাঠানো মেসির একটি ফ্যাক্স জল্পনা কে বেশ অনেকটাই উসকে দিল।
মেসির পাঠান ফ্যাক্স এ মাত্র দুটি লাইন, যাতে উল্লেখ ছিল, “আমি আর বার্সেলোনায় থাকছি না। চুক্তি অনুযায়ী আমার যে বছর ক্লাব ছাড়ার ক্লজ আছে সেটাই অ্যাক্টিভেট করতে চাই”। মেসির এই বার্তা ইতিমধ্যেই শোরগোল ফেলেছে বিশ্ব ক্রীড়া জগতে। মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার কারণ হিসেবে ঘনিষ্ঠমহলে মেসি এবং ক্লাব প্রেসিডেন্ট বার্তোমিউর ঠান্ডা যুদ্ধের কথাও উঠে এসেছে।
উল্লেখ্য, একবার জনসমক্ষে ক্লাব প্রেসিডেন্টকে কটাক্ষ করে মেসি বলেন, বার্তোমিউ প্রেসিডেন্টের পদে থাকার যোগ্য নন। পাল্টা উত্তরে বার্সা ক্লাব প্রেসিডেন্ট বার্তোমিউ, এই মরশুমে ব্যর্থতার কারণ হিসেবে সিনিয়র ফুটবলারদেরই দায়ী করেন। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। বার্সেলোনার প্রাক্তন স্পোর্টিং ডিরেক্টর, এরিক আবিদাল এর সাথে মেসির বন্ধুত্বের কথা কারোও অজানা নয়। তবে সাম্প্রতিক কালে, তাদের এই বন্ধুত্বের সম্পর্কেও ফাটল ধরেছে। আর সেই ফাটল আরও চওড়া হয় যখন মেসি আবিদালকে অনুরোধ করেন নেইমারকে দলে ফেরাবার জন্যে, কিন্তু আবিদাল তার বদলে গ্রিজম্যান ও ডেম্বেলের এর মত ফুটবলারদের দলে সই করাতে, প্রস্তাব দেন।
এছাড়া সম্প্রতি, মেসির প্রিয় বন্ধু লুইস সুয়ারেজকেও দল থেকে বাদ দেয়া হয়। কার্যত এতেই ক্ষুব্ধ হন মেসি। ছাড়তে চান দল। অবশ্য বার্সার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেসি কোথাও যাচ্ছেন না। অন্যদিকে মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার খবরে, তাকে নতুন দলে সই করানোর তালিকায় নাম লিখিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানসিটি, পিএসজি, ইন্টার মিলান এর মতোন উল্লেখযোগ্য ইউরোপীয় ক্লাবগুলি। তবে কোন ক্লাবের জার্সিতে আবার দেখা যাবে এই ফুটবল তারকাকে তা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।