প্রতিকূলতাকে জয় করেই এসেছে একের পর এক এক চোঁখ ধাঁধানো সাফল্য। 2019 সালে সুইজারল্যান্ডের বাসেলে অনুষ্ঠিত বিশ্ব প্যারা ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় পুরুষ বিভাগের এস এস 6 (শর্ট স্ট্রাকচার) ডাবলস ইভেন্টে কৃষ্ণ নাগর কে সঙ্গী করে রৌপ্য জয়ী রাণীগঞ্জের রাজার বহুদিনের স্বপ্ন ছিলো ব্যাডমিন্টন ট্রেনিং সেন্টার শুরু করার। পারিবারিক জমানো অর্থ ও প্রতিযোগিতা জয়ের পুরস্কার মূল্য এই দুয়ের অবলম্বনেই বাবুপাড়ার নিজের বাড়ির পেছন দিকে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে তার ট্রেনিং সেন্টারের। এশিয়ান প্যারা গেমসে দেশের প্রতিনিধিত্ব কারী রাজা মাগোত্রা ফোনে জানান ‘ প্রথম যখন ব্যাডমিন্টন প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করি প্রভূত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিলো একাধিক সময়ে, শারিরীক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আর পাঁচটা সাধারণ ছেলের সঙ্গেই ট্রেনিং করতে হতো, অনেক সময় আবার খেলার জায়গাও মিলতে না। এভাবেই বহু বিপত্তি সামলে এগিয়ে যেতে হয়েছে নিজের লক্ষ্যপূরণে ” ।
তার এই ট্রেনিং সেন্টারে বিনামূল্যে খেলা শিখতে পারবেন প্যারা ব্যাডমিন্টন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি দুস্থ খেলোয়াড়দের দিকে আর্থিক সহায়তা হাত বাড়িয়ে দিতে চান ‘খেল সম্মান ‘ জয়ী ব্যাডমিন্টনের রাজা। তার এই ট্রেনিং সেন্টারে মেন্টরের ভূমিকায় রয়েছেন কোচ সন্দীপ মিশ্র। নিজের ট্রেনিং সেন্টারের কাজ পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি দুর্গাপুরে জোরকদমে চালিয়ে যাচ্ছেন টোকিও অলিম্পিকের প্রস্তুতি। প্রমোদ, মনোজ, তরুন, কৃষ্ণ দের পাশাপাশি বাংলার ছেলে রাজা ও লড়ছেন এই লড়াইয়ে। টোকিও র টিকিট হাত নাগালে সময় নষ্ট না করেই চালিয়ে যেতে চান ট্রেনিং।