অলিম্পিক একবছর পিছিয়ে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক অন্য প্রতিযোগিতাও কবে শুরু হবে, এখনও ঠিক নেই। কিন্তু ফেডারেশন ও সাইয়ের উদ্যোগে কয়েকটি খেলার জাতীয় দলের প্রস্তুতি শিবির শুরু হয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বক্সিংও। করোনা-আতঙ্ক ও লকডাউনের জেরে তিন মাসেরও বেশি বন্ধ ছিল বক্সিংয়ের জাতীয় শিবির। ১ জুলাই থেকে ফের জাতীয় শিবির শুরু হয়েছে পাতিয়ালায়। ১২ জন পুরুষ ও ৬ জন মহিলা বক্সার ওই শিবিরে আছেন। ভারতের মহিলা দলের কোচ বাংলার মহম্মদ আলি কামার।


২০০২ সালে ম্যাঞ্চেস্টারে কমনওয়েলথ গেমসে ভারতীয় বক্সার হিসেবে প্রথম সোনা জিতেছিলেন কলকাতার ছেলে আলি কামার। খেলা ছাড়ার পর চলে আসেন কোচিংয়ে। ২০১৬ সালে ঢুকে পড়েন জাতীয় কোচের প্যানেলে। এখন মহিলা দলের দায়িত্বে। মহিলাদের জাতীয় শিবিরে ডাকা হয়েছে ৭ জন বক্সারকে। এঁদের মধ্যে ৬ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন মেরি কমকে আপাতত পাতিয়ালার শিবিরে যোগ দিতে হয়নি। তাঁকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তিনি দিল্লিতেই অনুশীলন করতে পারবেন। ফলে মেরি কম পাতিয়ালায় যাননি। গিয়েছেন বাকি ৬ জন। ওঁরা হলেন সিমরনজিৎ কৌর, লোভলিনা বরগোহিন, পূজা রানী, সোনিয়া লাথার, মনীশা ও সাক্ষী। এঁদের মধ্যে প্রথম তিনজন ও মেরি কম এরই মধ্যে অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছেন। অলিম্পিক একবছর পিছিয়ে গেলেও, সামনের বছর যদি হয়, এরই মধ্যে যাঁরা যোগ্যতা অর্জন করেছেন, তাঁরা সবাই অংশ নিতে পারবেন। তাঁদের নতুন করে আবার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে না।


রবিবার রাতে পাতিয়ালা থেকে ফোনে আলি কামার বলছিলেন, ‘লকডাউন শুরুর আগেই সবাই বাড়ি ফিরে গেছিল। আমিও কলকাতায় চলে গেছিলাম। কিন্তু মাসের পর মাস বাড়িতে বসে থেকে খেলাধুলো হয় না। বাড়িতে প্র্যাকটিস করার মতো পরিকাঠামো সবার থাকার কথা নয়। আর বসে থেকে থেকে মানসিক দিক দিয়েও পিছিয়ে পড়ছিল সবাই। আমরা ভীষণ চিন্তায় ছিলাম। অনলাইনে কিছু কিছু নির্দেশ দেওয়া হচ্ছিল ঠিকই। কিন্তু ওভাবেও বেশিদিন চলে না। বক্সিং অনলাইনে হয় না। সব পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ফেডারেশন, সাই ন্যাশনাল ক্যাম্প চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়।’ জাতীয় শিবির চালু হলেও সবরকম বিধি মেনেই চলছে। ক্যাম্পাসে নানারকম নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। অনুশীলন আর হস্টেলের ঘরেই আটকে থাকতে হচ্ছে বক্সারদের। আলি কামার বললেন, ‘সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে প্র্যাকটিসেও। ফলে কোনও ফাইট প্র্যাকটিস হচ্ছে না। পুরোপুরি পাঞ্চিং ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে। ফিটনেস ট্রেনিং চলছে। ছেলেদের অনুশীলনও চলছে একইভাবে। কবে প্রতিযোগিতা শুরু হবে, কেউ জানে না। তাই এখন ফিটনেস যাতে বক্সাররা ধরে রাখতে পারে, সেদিকেই বেশি নজর দিতে হচ্ছে।’