দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো : গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকেই ঘাসফুল ছেড়ে পদ্ম ফুলের দিকে অনেকেই পা বাড়িয়েছে। নানা কথা নানা মত সামনে এসেছে। কোথাও বা দলীয় দ্বন্দ্ব আবার কোথাও কাজ না করতে পারার ক্ষোভ। কোথাও আবার অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার রাগ, কেউ কেউ আবার শুধু নিছকই স্কোর সমান করতেই ছেড়ে গেছেন রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গ।
কিছুদিন আগে ঘাসফুলের বাগান ছেড়ে পদ্মের দলে ভিড়েছে একদা তৃণমূলের একান্ত ঘনিষ্ঠ অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায় । গত মাসের এক বিজেপি সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন হিরণ। রাজ্যের আট দফার ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গেছে এর সেখানেই দ্বিতীয় দফায় অর্থাৎ ১লা এপ্রিল ভোটগ্রহণ পর্ব হতে চলেছে বিজেপি রাজ্য সভাপতির কেন্দ্রে।
আজকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে ঘোষণা করা হলো প্রার্থীর নাম। দিলীপ ঘোষের কেন্দ্রের এবারের প্রার্থী অভিনেতা হিরণ চ্যাটার্জী। তবে এ হেন ঘোষণায় দলের এক তরফে দেখা গেছে অসন্তোষ। প্রধানত দিলীপ ঘনিষ্ঠরা ব্যাপারটা কে মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না। কারণ সভাপতির কেন্দ্র থেকে দিলীপ ঘোষের বদলে হঠাৎ এরম তারকা প্রার্থী সকলের কাছে আশ্চর্য্যজনক।
আরও পড়ুন:দলবদলের স্রোতে গা ভাসিয়ে এবার বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন পাণিহাটির কাউন্সিলর কৌশিক চট্টোপাধ্যায়
তবে দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, অনেক ভাবনা বিবেচনা করেই এই কেন্দ্রে তারকা প্রার্থী দেওয়ার কথা চূড়ান্ত করা হয়েছে। দল এই মুহূর্তে এখানে এক তারকা মুখের ওপর ভরসা করছে। তবে বিজেপি এরাজ্যে ক্ষমতায় এলে এখানকার ভূমিপুত্র কেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখা যাবে এবং তার সাথে তার নির্বাচনী লড়াই এর কোন সম্পর্ক নেই। গেরুয়া শিবিরে এরকম নজিরের অভাব নেই তাই কে নির্বাচনী লড়াইয়ে আছে বা কে নেই তাই দিয়ে কিছু যায় আসে না। এরই সাথে গেরুয়া শিবির দিলীপ ঘোষকে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য এক দাবীদার হিসেবে ভাবার ক্ষেত্রেও বিশেষ কোনো ইঙ্গিত না দিলেও সম্ভাবনা থাকে একেবারে উড়িয়েও দেয়নি। যদিও নিজের এই কেন্দ্রে বিজেপি রাজ্য সভাপতি নির্বাচনী ফলাফল বেশ ইতিবাচক। যদিওবা রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ বিষয়ে বলেছেন, ” আমি কোনদিনই নির্বাচন লড়তে চাই নি তাই দল যা সিদ্ধান্ত নেবে আমি তাতেই রাজি। “