দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:নির্বাচনে কে কত অংকের স্কোর তুলতে পারবে সেই নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে এক বিরাট প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমায় দেখ। এই সব কিছুর মাঝেই গত ২৭ শে মার্চ থেকে রাজ্যে নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং যথারীতি হিংসাত্মক কার্যকলাপ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে থেকে গেছে। তারই মধ্যে আবার জনসভা এবং প্রচারেরও কোন কমতি নেই।
তবে এবার এই প্রচারের এক পদ্ধতিকে ঘিরেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের প্রধান মুখ শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করলেন নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে। আজ নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো চিঠিতে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে যে রাজনৈতিক সম্পর্কের জেরে বাংলাদেশের যে আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রী পেয়েছিলেন সৌজন্যবোধের তাগিদে তাকে বেআইনিভাবে এবং নিয়ম ভেঙে ভোটের কাজে সুবিধা পেতে ব্যবহার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচন কমিশনের কাছে এর সঠিক বিচার এবং শাস্তির দাবি করেছে তৃণমূল সরকার।
আজ নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো মেয়েদের চিঠিতে তৃণমূল সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, গত ২৭ শে মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা 50 বছর পূর্তিকে ঘিরে এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উপলক্ষে সেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তৃণমূলের দাবি সেই অনুষ্ঠানকে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী লড়াইয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য এবং তাদেরকে নিজেদের দলে টানার জন্য ব্যবহার করেছেন নরেন্দ্র মোদি। চিঠিতে আরো বলা হয়েছে যে এর আগে কখনো কোনো ভারতের প্রধানমন্ত্রী এইরকম ভাবে অসাংবিধানিক কার্যকলাপে যুক্ত হয়নি, তিনি সামান্য শিষ্টাচারের সীমা লংঘন করেছেন বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে নিজের রাজনৈতিক দলের হয়ে পরোক্ষভাবে প্রচার করার জন্য।
আরও পড়ুন:নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
এছাড়াও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশের ওড়াকান্দির যাত্রায় তিনি সঙ্গে করে পশ্চিমবাংলার একজন বিজেপি এমপি শান্তনু ঠাকুর কে নিয়ে গেছিলেন। বাস্তবে শান্তনু ঠাকুর ভারত সরকারের কোন আনুষ্ঠানিক পদে নিযুক্ত নন। তাছাড়া অনুষ্ঠানে কোন লোকসভার সদস্য বা কোন দলের কোনরকম সদস্যই আমন্ত্রিত ছিলেন না নরেন্দ্র মোদি ছাড়া। তাই এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর এই কাজ অসাংবিধানিক এবং অনৈতিক। নির্বাচন কমিশনের কাছে এর জন্য সুবিচার পাওয়ার আশা দাবি করেন রাজ্যের শাসক দল। এখনো রাজ্যে প্রায় সাত দফার ভোট বাকি আছে আর যার ফলাফল ঘোষণা করা হবে ২ রা মে। এখন দেখা যাক এই অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের ভিড়ে জনগণের মনে আসলে কে জায়গা করে নেয়।