দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:গতকাল দ্বিতীয় দফায় ভোট হয়েছে নন্দীগ্রামে।আর ভোট চলাকালীন ভোট লুট রুখতে বয়ালের ৭ নম্বর বুথে গিয়ে টানা ২ ঘণ্টা বসেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনা প্রসঙ্গে গতকালই মুখ খুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।তিনি বলেছিলেন “নন্দীগ্রামে যা হলো তা আমরা সবাই দেখলাম। এটা দেখা যাচ্ছে দিদি হার মেনে নিয়েছে।”
আর এবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইন অমান্য করার অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি।তাঁদের তরফে দাবি করা হয়েছে গতকাল বয়ালে আইন ভেঙে দু’ঘণ্টা ধর্না দিয়ে বসছছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল ভোটের গতি কমিয়ে দেওয়া। যাতে হারের ব্যবধান কমানো যায়।
এপ্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া অভিযোগ করেছেন “নন্দীগ্রাম বিধানসভার ৭ নম্বর বুথে মমতা রীতিমতো ধর্না দিয়েছেন। তিনি প্রার্থী হিসেবে যে কোনও বুথে যেতেই পারেন। কিন্তু ধর্না দিতে পারেন না। দু’ঘণ্টা ধর্না দিলেন। সব ভুলে গেলেন। ১৪৪ ধারারও তোয়াক্কা করেননি। বহিরাগতদের নিয়ে ভোট প্রভাবিত করেছেন মমতা। গত ৩০টি কেন্দ্রের মধ্যে একমাত্র নন্দীগ্রামেই শতাংশ ভোট কমল? তার মানে কী? উনি জেনেবুঝে ভোটকে প্রভাবিত করলেন। ভোটের গতি কমিয়ে দিলেন।”
অন্যদিকে আজ দুপুরে তৃণমূলের তরফে এক প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে একাধিক অভিযোগ জানিয়ে এসেছেন। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে।আজ ফালাকাটার সভা থেকে ওই একই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ফালাকাটাবাসীকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন , “গতকাল নন্দীগ্রামে দেখেছি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাপট। নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ হওয়ার পর কেন্দ্রীয় বাহিনী ভয় দেখাতে পারে। ওসবকে গুরুত্ব দেবেন না।”
আরও পড়ুন:রাজ্যজুড়ে অব্যাহত রাজনৈতিক হিংসা, কাঠগড়ায় শাসকদল তৃণমূল
অন্যদিকে গতকাল নন্দীগ্রামের ভোট প্রসঙ্গে প্রশংসা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।গতকাল শুধু নন্দীগ্রামেই ৮৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।আর সেই প্রসঙ্গ টেনেই রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের প্রশংসা করেছেন। টুইট কর তিনি লিখেছেন, “পশ্চিবঙ্গের দ্বিতীয় দফার ভোটে ৩০ আসনে ৮৪ শতাংশের বেশি ও নন্দীগ্রামে ৮০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে, যা খুবই প্রশংসনীয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ অসাধারণ কাজ করেছে। আগামী দফার ভোটেও এই একই ধারা বজায় রাখতে হবে।”
সেইসঙ্গে রাজ্য বাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “সবাইকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করছি কারণ এভাবেই গণতন্ত্র বজায় থাকবে। হিংসার কোনও জায়গা নেই।”