দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:চতুর্থ দফার ভোটে সকাল থেকেই উত্তপ্ত বাংলা। কোচবিহারে সকাল থেকেই চলেছে গুলি। যার জেরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এই ঘটনার জেরে রাজ্যে নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই বিকেল পাঁচটার মধ্যে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। এছাড়া ভোটবঙ্গে আজও রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসছে টুকরো অশান্তির ছবি। আজ শীতলকুচির জোড়াপাটকী তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের প্রাণ যাওয়ার ঘটনার পরেই কড়া পদক্ষেপ নেয় কমিশন । শীতলকুচির ওই ১২৬ নং বুথে ভোট গ্রহণ স্থগিত করার নির্দেশ দেয় কমিশন।
অন্যদিকে আজ শীতলকুচির ওই এলাকাতেই গন্ডগোলের মধ্যেই মায়ের কোল থেকে দেড় বছরের এক দেড় বছরের শিশু কে কেড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বাচ্চা হারিয়ে যাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়ে মা। এরপর ২ ঘন্টা পরে বাচ্চা কে ফিরে পান সেই মা।
আজ সকালে চুঁচুড়া কেন্দ্রে আক্রান্ত হলেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়।অভিযোগ ওই এলাকায় ছাপ্পা ভোট রুখতে গিয়েই আক্রান্ত হয়েছেন তিনি।তাঁর গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।এই হামলার ঘটনায় সরাসরি তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তিনি।যদিও তৃণমূলের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। জানা গেছে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হামলার পর এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে লকেট অভিযোগ করেন এদিন পুজো দিয়ে বিভিন্ন বুথে ঘুরে পরিস্থিতি তদারকি করছিলেন তিনি।সেসময়, ৬৬ নম্বরের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বুথে গিয়ে তিনি দেখেন ইভিএমের কাছে একজন মহিলা দাঁড়িয়ে রয়েছেন।তাঁর কাছে পরিচয় জানতে চাওয়া হলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেনি। এরপরেই লকেট তার বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ করেন। সেসময়েই তাঁর উপর আচমকা ইট, পাটকেল ছু্ঁড়ে হামলা করা হয়।সেসময় হাতে চোট পেয়েছেন লকেট।তাঁর গাড়ির কাঁচও ভেঙে গিয়েছে বলে খবর। হামলার জেরে সংবাদমাধ্যমও আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর।এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করেছেন লকেট। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনি চেয়ে পাঠান তিনি।
অন্য দিকে দিনহাটায় তৃণমূলের ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে।প্রকাশ্যে প্রিসাইডিং অফিসারের সামনেই তৃণমূল এজেন্টকে বসতে বাধা দিতে দেখা যায়।তিনি রাজি না হলে তাঁর ভাইপোকে পণবন্দি করে ভয় দেখিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।এই ঘটনার জেরে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ভোটাররা।এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। এরপর দিনহাটার তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ গিয়ে আশ্বস্ত করার পর ঘটনাস্থলে যায় ক্যুইক রেসপন্স টিম।
আরও পড়ুন:প্রশান্ত কিশোরের অডিও টেপ ফাঁস, যদিও সত্যতা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা
এছাড়া কসবার বিজেপি প্রার্থী ইন্দ্রনীল খাঁয়ের বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ওঠে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, কসবার একটি বুথে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে বসতে দিচ্ছে না। অন্যদিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কসবার কয়েকটি বাড়িতে ঢুকে ভোটার কার্ড কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।