দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:লাগাম ছাড়া করোনা সংক্রমণের প্রভাব এবার পড়তে চলেছে বাংলার ভোটে। ইতিমধ্যে ভোটের প্রচারে বেরিয়ে করোনা সংক্রমিত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক। এই ঘটনার পরেই কার্যত নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণ রুখতে ২৪ এপ্রিল একসাথে বাকি তিন দফার ভোট করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে কমিশন। যদিও এবিষয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। দিল্লিতে মুখ্য কমিশনারের বৈঠকের পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে খবর।
তবে একসাথে তিন দফার ভোট ঘিরে যে জল্পনা শুরু হয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য তিন দফার ভোট একসাথে করতে হলে সেক্ষেত্রে ১১৪টা বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। তাই সেক্ষেত্রে মাত্র হাজার কোম্পানির বাহিনী দিয়ে ভোট করানো সম্ভব হবে না। কারণ স্পর্শকাতর বুথগুলিতে অতিরিক্ত বাহিনী দিতে হবে। এসবের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে বাহিনী বাড়াতে প্রস্তাব দিতে চলেছে বিএসএফ।এছাড়াও ভোট কর্মীদের এক সঙ্গে করে ভোট করা একটা বড়সড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে কমিশনের কাছে। তাশুধু তাই নয় একসঙ্গে তিন দফার ভোট হলে, ভোট কর্মীদের ব্যবহারের পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে হবে। তাই সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে এবিষয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে প্রস্তাব দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য শুরু থেকেই রাজ্যে আট দফায় ভোট করার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে একাধিক বার নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দেগেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাই সূত্রের খবর, একসাথে তিন দফার ভোট করানোর প্রস্তাব দেওয়া হলে তাতে সম্মতি থাকবে তৃণমূল কংগ্রেসের।
অন্যদিকে এ বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, অতিমারি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নেবে, তা তাঁরা মেনে নেবেন। বাকি দলগুলিরও মত নেবে নির্বাচন কমিশন।