দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো:গতকালই রাজ্যে শেষ হয়েছে পঞ্চম দফার ভোট।এদিন ভোট চলাকালীন দিনভর রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে উঠে আসে নানান অশান্তির খবর। আর ভোটের পর দিন সকালেই চাকদহে বাড়ির সামনের বাগান থেকে উদ্ধার হল এক বিজেপি কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।জানা গেছে চাকদহ বিধানসভার রাওয়াড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মণ্ডল পাড়া এলাকার সক্রিয় ওই বিজেপি কর্মীর নাম দিলীপ কীর্তনিয়া (৩১) ।
দলীয় কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপির অভিযোগ বিজেপি করার অপরাধে তৃণমূলের লোকজন তাকে পিটিয়ে খুন করেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। জানা গেছে গতকাল ভোটে তিনি বিজেপির হয়ে পোলিং এজেন্ট ছিলেন।
বিজেপির অভিযোগ করছে, শনিবার তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। উল্লেখ্য আগেও তাঁকে একাধিক বার হুমকি দেওয়া হয়।এরপর আজ অর্থাৎ রবিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি বাগানে দিলীপবাবুর দেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়।
জানা যায় দিলীপ বাবুর মুখ ও কান দিয়ে রক্ত ঝরছিল।সেই অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এরপরেই দলীয় কর্মীকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ তুলে শিমুরালি রোডে টায়ার জ্বালিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিরাট পুলিশবাহিনী। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিজেপির তরফে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি। পোলিং এজেন্টকে বাড়ি থেক ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করছে ওরা। বিজেপি করা তৃণমূলের কাছে অপরাধ। বিরোধী শূন্য করতে দলের নিচুতলার কর্মীরা খুনোখুনি করছে। দোষীদের শাস্তি চাই।”
অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের তরফে তাপস রায় জানান, “উনিশের লোকসভার পর রাজ্যে খুনোখুনির রাজনীতি আমদানি করেছে বিজেপি। এই ধরনের রাজনীতি করে ওরা আনন্দ পায়। কিন্তু তদন্তের আগে কীভাবে এটাকে খুন বলে দেওয়া যায়? কীভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আঙুল তোলা যায় তা আমার জানা নেই। তদন্ত হোক, প্রকৃত সত্য সামনে আসবে।”