দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: পূর্ব সিকিমের পাহাড়ী উপত্যকায় একটি অপূর্ব ছোট্ট জনপদ রোলেপ। ছোট্ট গ্রামটিতে মূলতঃ ভুটিয়া, শেরপা, ছেত্রী, রাইদের বসবাস। স্থানীয় ভাষা নেপালি। বহুল পরিচিত সিল্করূটের প্রবেশদ্বার হিসেবেও অনেকে এই গ্রাম কে চেনেন। বর্তমানে অফবিট লোকেশন যে সমস্ত টুরিস্টরা খোঁজ করেন তাদের জন্য রংপোখোলা নদীর ধারে রোলেপ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে। সিল্করুট যাওয়ার পথে বা শুধুমাত্র প্রাকৃতিক নিরিবিলিতে ছুটি কাটাতে রোলেপ হয়ে উঠতে পারে এক দূর্দান্ত গন্তব্য।
রোলেপের ঝুলন্ত ব্রিজ ধরে আপনার প্রিয়জনের হাত ধরে হেঁটে যাওয়া বা ৪০ ফুট উঁচু বুদ্ধ ফলস্ এর ধারে বসে জলের কুলুকুলু শব্দ আপনার মনকে এক অন্য পৃথিবীর সন্ধান দেবে। এই হোমস্টেতে কাটানো কটা দিন আপনার রোলেপ ভ্রমণের অভিজ্ঞতআকে সমৃদ্ধ করবে। এখানকার আতিথিয়তা এবং খাবার আপনাকে মুগ্ধ করবেই। রোলেপে কয়েকদিন কাটিয়ে যাওয়া স্মৃতি আপনার মনের মনিকোঠায় লেখা হয়ে যাবে। নদীর ধারের কুলুকুলু শব্দে ভিজে বোল্ডার গুলোয় বসে উপভোগ করুন প্রকৃতির রূপ।
আরও পড়ুন: রোজ সকালেই দাওয়াই পানি থেকে দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা ।
দর্শনীয় স্থান: বুদ্ধ ফলস্, মেনমেখো লেক, শোখে খোলা নদী, বুদ্ধ কেভ, এছাড়া চোখেন ভ্যালি, ডেকিলিং মনাস্ট্রী রাংখে ব্রিজ ঘুরে দেখতে পারেন। রোলেপ রংলি থেকে বেশি দূরে নয় তাই যারা নাথাং, জুলুক, পাদামচেন, ইয়াকতেন, লোসিং যাবেন তারা রোলেপ ঘুরে যেতেই পারেন দুদিনের জন্য। এছাড়া রোলেপ থেকে ডোবান বা আরিটার লেক ও রোলেপ থেকে গাড়ী ভাড়া করে ঘুরে আসতে পারেন।
পাখি প্রেমিদের জন্যেও রোলেপ দারুন ডেস্টিনেশন। ঘন জঙ্গলে মোড়া হওয়ায় নানারকম হিমালয়ান পাখির আস্তানা এই গ্রাম। এছাড়া রোলেপের হোমস্টেতে আজকাল নদীতে ফিসিং ট্রিপের ও আয়োজন করছে। আর আপনি যদি চান তবে কিছু হোমস্টে ট্র্যাডিশনাল বার্বিকিউ’ এরও আয়োজন করে দেবে আপনার জন্য সন্ধায়।


আরও পড়ুন: নিরুদ্দেশের ঠিকানা গোবর্ধনপুর – প্রদ্যুৎ কুমার দে
যেভাবে যাবেন: নিউ জলপাইগুড়ি থেকে রোলেপের দূরত্ব ১৪০ কিমি। ছোট গাড়ী ভাড়া ৪০০০/- বড় গাড়ী ৫০০০/-। এছাড়া রংপো হয়ে শেয়ার গাড়ীতেও রোলেপ আসা যায়। সাধারণত হোমস্টে গুলিতে থাকা খাওয়া সমেত জন প্রতি ১৫০০/- টাকা করে খরচ।