দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো: সাউথ (দক্ষিণ) সিকিমের ছোট্ট এবং ছবির মত সুসজ্জিত একটি গ্রাম চালামথাং। স্থানীয় লেপচা ভাষায় ‘চালামথাং’ কথার অর্থ হলো কমলালেবুর বাগিচা। চালামথাং সিকিমের অন্যতম পরিস্কার অর্গানিক ভিলেজ। প্রকৃতির পরম সৌন্দর্যের স্বাদ পেতে এই গ্রামে কাটিয়ে যেতে পারেন দুদিন। হোমস্টে থেকে পাহাড়ের দূরন্ত ভিউ আর সঙ্গে স্থানীয় খাবারের স্বাদ আপনাকে এক স্বর্গীয় অনুভুতি এনে দেবে।


এই গ্রামের বেশিরভাগটাই আপনাকে পাঁয়ে হেটে ঘুরতে হবে। মূলত: প্রকৃতিকে খুব কাছ থেকে যারা দেখতে চান, প্রকৃতির নিঃস্তব্ধতাকে যারা প্রাণভরে পান করে নিতে চান তাদের জন্যই চালামথাং। বিস্তৃত পাইনের বনে হারিয়ে যাওয়া বা ছোটখাটো ট্রেকিং, গ্রামের টাটকা সব্জির রান্না সবই উপভোগ করতে পারেন অপূর্ব সুন্দর এই জনপদে। তবে এই হোমস্টেতে ননভেজ খাবার খাওয়া যায়না, সম্পূর্ণ মিল ভেজ হলেও, রান্নার গুণে তা অতুলনীয়।
আরও পড়ুন: সিল্করুটের বেস্ট সিলেক্ট ডেস্টিনেশন পূর্ব সিকিমের রোলেপ, নিরিবিলির নৈকট্য
চালামথাং থেকে কাছেপিঠে রাভাংলা, নামচি চারধাম, সম্পদ্রুপ্সে মনাস্ট্রি, টেমি টি গার্ডেন, টেনডং বায়ো ডাইভার্সিটি পার্ক প্রভৃতি জায়গা গুলি সহজেই ঘুরে আসতে পারেন। দিনে দিনেই ঘুরে আসা যায়। এছাড়া তারে ভির অবশ্যই দেখবেন। ১০০০০ ফিট দীর্ঘ পাহাড়ী ঢালে সরু সর্পিল পথ চলে গেছে মাঝ বরাবর। যেখান থেকে আপনি দেখতে পাবেন রংগীত ও তিস্তা নদীকে। তারে ভিরের হিলটপে আপনি দেখা পেতেই পারেন বিরল প্রজাতীর বন্য পাহাড়ি ছাগলের। তারে ভির প্রকৃতির এক আশ্চর্য্য সৃষ্টি। পাইনে মোড়া তারে ভির তাই কোনমতেই মিস করবেন না।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে চালামথাং এর দূরত্ব ১০০কিমি। যেতে পারবেন শেয়ার গাড়িতে বা ব্যক্তিগতভাবে রিজার্ভ করা গাড়িতে। কলকাতা থেকে নিউজলপাইগুড়ি ট্রেনে, অথবা কলকাতা নেতাজি সুভাষ বিমানবন্দর থেকে প্লেনে বাগডোগরা হয়ে গাড়িতে চালামথাং। রয়েছে মধ্যবিত্তের পকেট সহায়ক হোমস্টে।