আপনি যদি দক্ষিণ সিকিম বেড়াতে যান আর টেমি টি গার্ডেন না যান তবে আপনার ঘোরা যেন অসম্পূর্ণ থেকেই যায়। সিকিমের একমাত্র চা বাগান যা নিজস্ব রূপে-গুণে-গন্ধে যেন আপনাকে মুগ্ধ করবেই। পৃথিবীর সেরা ফ্লেভার্ড জায়গা গুলির মধ্যে টেমি একটি। একদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ শোভা অন্যদিকে পাহাড়ী ঢালে সবুজে মোড়া বিস্তৃত চা বাগান, নানা রকম পাখির ডাক আর নিঃস্তব্ধ প্রকৃতি। শীতকালে এই শোভা আরও বেড়ে যায় যখন বাগানের মাঝে মাঝে চেরি ব্লসমের ফুল গুলি ফুটে ওঠে।


আপনার সাথে যদি থাকেন কোন প্রিয়জন আপনার ছুটির আমেজ যেন কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। আজকাল বহু টুরিস্ট আসেন এই টেমি টি গার্ডেন এ। তবে বেশিরভাগই রাভাংলা বা নামচি থেকে সাইটসিন করতে। কিন্তু টেমি টি গার্ডেনের পাশেই হোমস্টতে বসে গরম চা এর সঙ্গে ভোরবেলায় সূর্যোদয় দেখাও কিন্তু আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতার এক পরম প্রাপ্তি হতে পারে। সঙ্গে থাকবে হোমস্টের সুস্বাদু খাবার আর উষ্ম আতিথিয়তা। ভোরবেলা বেড়িয়ে পড়ুন এই চা বাগানের রাস্তা ধরে মর্নিং ওয়াকে। আপনার সাথে পায়ে পা মিলিয়ে চলবে পাহাড়ী সুগন্ধ আর নৈঃসর্গিক প্রকৃতির রহস্যময় সব ভালোলাগারা।
আরও পড়ুন: আরব্যরজনীর পাতায় গোলগম্বুজ : লেখা ও ছবি অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়
টেমি টি গার্ডেনের আশেপাশে দর্শনীয় বলতে, রাভাংলা বা নামচির মতনই। সম্পদ্রুপ্সে মনাস্ট্রি, নামচি চারধাম, নামচি রোপওয়ে, রক গার্ডেন, রাভাংলা বুদ্ধ পার্ক ইত্যাদি সবই দিনে দিনে ঘুরে আসা যায়। ছোট গাড়ী ভাড়া পড়ে ৩০০০/- মতো। তবে যে সমস্ত ট্রাভেলাররা টুরিস্ট স্পটের ভীড়, সাইটসিনের দৌড়াদৌড়ি পছন্দ করেন না, শুধুমাত্র প্রকৃতির নির্জনতাকে উপলব্ধি করতে চান তারাই এখানে এসে থাকতে চান। টেমি টি গার্ডেনে ঢোকার মুখে সিকিম গভর্নমেন্ট এর একটি ছোট্ট স্টল আছে ওখানে বসে বাইরের এমন সৌন্দর্য দেখতে দেখতে চায়ের কাপে চুমুক দিতেই পারেন। ওরাই বানিয়ে বিক্রি করে। ঐ স্টল থেকে চাইলে আপনি টেমি টি গার্ডেনের চায়ের প্যাকেটও কিনে আনতে পারেন।


নিউ জলপাইগুড়ি থেকে টেমির দূরত্ব ১১৯ কিমি। আনুমানিক ছোট গাড়ী ভাড়া ৪০০০/- টাকা। রাভাংলা থেকে দূরত্ব ১৮ কিমি। হোমস্টের খরচ- ১৫০০/- জনপ্রতি প্রতিদিন সমস্ত মিল সহ।