দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরোঃ কলকাতা শহরজুড়ে ইতিউতি শীতের ভিড় জমতে শুরু করলেও, এখনো শীতের হিমেল আমেজে মজেনি পশ্চিমবঙ্গবাসী। কিন্তু এরই মধ্যে রাজ্যের সর্বোচ্চ স্পটে শনিবার রাতে হয়ে গেল তুষারপাত। উত্তরবঙ্গ জুড়ে শেষ দুদিন বেশ মেঘলা আকাশ ছিল। শনিবার গভীর রাতে ভারী বৃষ্টিপাতও হয়ে যায় শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকায়। কিন্তু দার্জিলিঙের সান্দাকফুতে এক ধাক্কায় পারদ নেমে যায় হিমাঙ্কের নিচে, আর তারপরেই শুরু হয় তুষারপাত।


পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ স্থান হল দার্জিলিঙের সান্দাকফু। প্রতি বছরই শীতে সেখানে বরফ পরে। কিন্তু কোভিড আতঙ্কে এবারের শীতে তেমন পাহারমুখী হয়নি কেউ। তারমধ্যেই কিছু মানুষ করোনাবিধি মেনে সান্দাকফু ঘুরে গেছে। এমনকি অভিনেতা মিলিন্দ সোমান সান্দাকফুতে এসে ম্যারাথনে দৌড়ে গেছেন। কিন্তু শনিবার রাতের তুষারবৃষ্টি যে উত্তরবঙ্গে পাহারপ্রেমীদের ভিড় বাড়াবে তাই মনে করছে স্থানীয় মানুষ ও হোটেল ব্যবসায়ীরা।


এমনিতেই বাঙালির আদর্শ ঘুরতে যাওয়ার জায়গার মধ্যে দার্জিলিঙ প্রথমেই পরে, তারমধ্যে সান্দাকফুর বরফে ঢাকা ছবি পর্যটকদের মনে দোলা জাগাবে। দার্জিলিঙের পাশাপাশি সিকিমের উত্তরাংশ জুড়ে দফায় দফায় বরফপাত চলছে। ছাঙ্গু, নাথুলাতে পারদ মাইনাস ২-৩ ডিগ্রিতে ঘোরাফেরা করছে। অন্যদিকে শিলিগুড়ি ও তার উত্তরে দিনের বেলা তাপমাত্রা ২২-২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকলেও তাতে ক্লান্তির কোনো রেশ নেই। পাহাড়ের জিপ চালকদের বক্তব্য যে, এবারে শীত অন্যবারের থেকে অনেক আরামের। তাই এবারের শীতে সিমলা, কাশ্মীর না হলেও ঘরের কাছে সান্দাকফুতে ফূর্তির অভাব ঘটবে না।


আর এই সান্দাকফুতে যদি ট্রেকিং করতে চান, পাহাড়ী এক্সপিডিশনে মন ভোলাতে চান তাহলে দলবল নিয়ে দারুন পর্যটনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে কলকাতা ভিত্তিক পর্যটন সংস্থা ‘শেরপা’। এই মূহুর্তে কেমন রয়েছে পাহাড়ের আবহাওয়া! প্রকৃতির নৈসর্গিক দৃশ্যও বা কেমন! এই প্রসঙ্গে সংস্থার কর্ণধার সূর্য চ্যটার্জী বললেন-“কোভিড আবহে পাহাড়ে লোকের ভিড় টা এবারে খুব কম হলেও জানুয়ারী থেকে লোকের বুকিং পাচ্ছি। আর এবারে দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যে এই মূহুর্তে পাহাড়ের আবহওয়া দারুন। এক কথায় এটাই বেস্ট বছর পাহাড়ে আসার।” Sherpa-এর ফেসবুক পেজ থেকেও ভিজিট করতে পারেন বা ক্লিক করুন addahut.com এর সাইটে। সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ এ যোগাযোগ করন বা কল করুন– 9830553366 বা 9836499678 নম্বরে।