দার্জিলিং যদি পাহাড়ের রাণী হয়, কার্শিয়াং তবে নিশ্চিত করেই পাহাড়ের রাজকুমারী। সাদা অর্কিডের দেশ কার্শিয়াং দার্জিলিং জেলার এক পরিচিত শহর। এই শহর মোটেই অফবিট নয়, বরং পাহাড় নিয়ে বাঙালীর মনে যে চিরকালীন নস্টালজিয়া তার অনেকটা জুড়েই এই শহর। এই শহরের রাস্তা জানে ভ্রমণপ্রিয় বাঙালীর পাহাড় প্রেমের লুকোনো মনের হদিশ।
সারাবছরই এখানে এক অদ্ভুৎ মনোরম পরিবেশ, তবে বর্ষার কার্শিয়াং এক মোহময়ী সুন্দরী। মেঘ-কুয়াশার লুকোচুরিতে ব্যাস্ত শহরের পাশ দিয়ে চলে যায় কু ঝিক ঝিক টয় ট্রেন। এ দৃশ্য মনোরম-নয়নাভিরাম। কার্শিয়াং নিয়ে তাই নতুন করে লেখার কিছু নেই। কার্শিয়াং নাম শুনলেই মনের মাঝে ভেসে ওঠে ‘খাদের ধারের রেলিংটা’ আরও কত কিছু। দু-তিনদিনের ছুটিতে অনেকেই এখানে বেড়াতে আসেন।


এখানে হোটেল বা হোমস্টের অভাব নেই। নানা দরের থাকার জায়গা রয়েছে। আপনার ইচ্ছে এবং সাধ্যমতো খুঁজে নিন আস্তানা। তবে এখানের অধিকাংশ হোমস্টেই তুলিতে আঁকা এক ঠিকানা। পাশ দিয়েই ধোঁয়া উড়িয়ে চলে যায় টয়ট্রেন। আর যেমন সুন্দর সাজানো তেমন ভালো আতিথিয়তা। তাই যদি কখনো আপনার গাড়ীর চাকা কার্শিয়াং এর দিকে চলে যায় আনমনেই, নিশ্চিত করেই সেখানে কাটিয়ে যেতে পারেন দুদিন।


কার্শিয়াং থেকে দেখার বা ঘোরার জায়গার অভাব নেই। অজস্র চা বাগান, আম্বতিয়া শিব মন্দির, ডিয়ার পার্ক, ঈগলস কেভ, ফরেস্ট মিউসিয়াম প্রভৃতি ঘুরে দেখুন। মকাইবাড়ী চা বাগান টি অবশ্যই ঘুরে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ চা এই বাগানেরই। এছাড়া, নেতাজী সুভাষ কেবিন ও মিউজিয়াম, কার্শিয়াং স্টেশন, ডাউহিল, সেন্ট মিরস চার্চ, চিমনি ভিউ পয়েন্ট, বাগোরা ফরেস্ট ও ঘুরে আসতে পারেন। ডাউহিলের গা ছমছমে প্রকৃতি আপনার ভালো লাগবেই।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কার্শিয়াং এর দূরত্ব ৪৮ কিমি। ট্রেনে নিউজলপাইগুড়ি নেমে সেখান থেকে শেয়ার ট্যাক্সি বা গাড়িতে কার্শিয়াং।