দ্য ক্যলকাটা মিরর ব্যুরো:আজ সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ অনুযায়ী পাহাড়ের মানুষের অনুরোধে বিশেষ করে জিটিএ’র অন্তর্ভূক্ত পার্বত্য এলাকা পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত (কন্টেনমেন্ট অঞ্চল ব্যতীত) করা হয়েছে। হোটেল এবং হোমস্টে গুলিতে SOP মেনে এবং অন্যান্য সরকারী নিয়ম বজায় রেখে খোলা থাকবে। আগামী ৭’ই সেপ্টেম্বর থেকে নিকট এবং দূরের পর্যটকরা জিটিএ অন্তর্ভূক্ত পার্বত্য অঞ্চলে ভ্রমণ এবং রাত্রিবাস করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে জিটিএ অঞ্চলে পর্যটন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হিমালয়ান হসপিটালিটী অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক, হিমালয়ান ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটি, দার্জিলিং হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, দার্জিলিং হোম স্টে ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, দার্জিলিং অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্রাভেল এজেন্টস আর হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পয়লা সেপ্টেম্বর থেকেই পাহাড়ে পর্যটক যাওয়ার কথা ঠিক হয়। কিন্তু দীর্ঘ লকডাউন থাকার জন্যে আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হওয়া এই সংস্থাগুলির হাতে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার প্রশাসনিক নির্দেশের কোন কপি ছিল না।
আজ ৫’ই সেপ্টেম্বর সেই নির্দেশ জারি হয়েছে। উল্লেখ্য গত জুলাই মাস থেকে পাহাড় খোলা থাকলেও করোনা আবহে পাহাড়ের মানুষই চাইছিলেন না যে কোনও বাইরের পর্যটক আসুক। কিন্তু দীর্ঘকালীন অর্থনৈতিক তালা বন্ধে এখন তাঁদের অবস্থাও খুব অসহায়। যেহেতু এখন মানুষ অনেকটাই সচেতন এবং প্রায় প্রত্যেকেই সামাজিকও দূরত্ববিধি সহ একাধিক সরকারী আজ্ঞার পালন করছেন তাই পাহাড়ের মানুষ ও চাইছে আবার তাদের অঞ্চলে আসুক পরিযায়ী।
এই প্রসঙ্গে HHTDN পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, মাননীয় মুখ্য সচিব এবং মাননীয় পর্যটন মন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে। সেই সাথে সিআইআই, নর্থ বেঙ্গল এবং সিকিম জোনাল কাউন্সিলকে এই পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তা করার জন্যেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছে ওই বহুল পরিচিত সংস্থা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের বৈঠকে HHTDN সিদ্ধান্ত নেয় যে প্রত্যেক এন্ট্রি পয়েন্টে স্বাস্থ্য শিবির খোলা হবে। প্রতিটি হোটেল এবং হোমস্টেকে সঠিক উপায়ে স্যানিটাইজ করা হবে এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জারি করা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিয়র অনুসরণ করেই পর্যটকদের স্বাগতম জানাবে জিটিএ।
আজ এই বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়াতে আর পাহাড়ে যাওয়ার জন্যে পর্যটকদের উদ্দেশ্যে আর কোনো নিষেধাজ্ঞা রইল না, তাহলে এবার বেরিয়ে পড়ায় যাক। অনেক হয়েছে করনার ভ্রূকুটি। এবার একটু নিউ নরমাল মেনেই হোক ছুটিছুটি।