দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো : শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি এখন মাত্র ৫০০ টাকায় থাকা খাওয়া মন্দারমনিতে । সৌজন্যে বারাকপুর রামকৃষ্ণ মিশন । অতিথিদের কথা মাথায় রেখে ব্যারাকপুর রামকৃষ্ণ মিশনের মন্দারমণি শাখাতে তৈরী হয়েছে অতিথিশালা । সেই অতিথিশালা আপনাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত । সাধারণত মন্দারমণি দিঘার থেকে অনেকটাই ব্যায় সাপেক্ষ । তাই মন্দারমণি যাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও শেষ মেশ দিঘাই গিয়েই দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হয় । কিন্তু এখন আর কোনো চিন্তা নেই আপনি স্বল্প বাজেটেই ঘুরে আসতে পারেন মন্দারমনিতে ।


সকাল ৬ টায় চা দিয়ে আপনার দিন শুরু হবে । ব্রেকফাস্টে থাকবে লুচি আলুরদম বা কোনো একটা তরকারি । দুপুরে ভাত ,ডাল , সবজি , মাছ অথবা মাংস , চাটনি -পাঁপড় বাদ যাবে না । সপ্তাহে একদিন খাসির মাংস হয়ে থাকে । সন্ধ্যায় চপ ,মুড়ি, চা । রাতে চিকেন অথবা ডিম্ , সঙ্গে ভাত বা রুটি পাবেন । সঙ্গে পাবেন মিশনের কর্মীদের পারিবারিক আতিথেয়তা । মিশনের দায়িত্বে আছেন বিধু মহারাজ । তিনিই সব ব্যবস্থা করে দেবেন ।


যে সমস্ত মানুষেরা দু একটা দিন সমুদ্র দেখার পাশাপাশি আধ্যাত্বিক পরিবেশে সময় কাটাতে চান তাদের জন্য এই জায়গা একেবারে আদর্শ ।
সামনেই লাল কাঁকড়া বিচ । সকালে সূর্যোদয় দেখতে গিয়ে সি বিচে হাজার হাজার লাল কাঁকড়া দেখতে পাবেন , সারি সারি মাছ ধরার ট্রলার বিচে দাঁড়িয়ে ।


জেলেদের মাছ ধরা চলেছে দিনরাত্রি । বিচের কাছেই চলছে মাছ শুকিয়ে শুটকি মাছ তৈরী । প্রত্যেকদিন সন্ধ্যায় মঠের সন্ধ্যারতি আপনার মনকে স্নিগ্ধ করবে ।
কিভাবে যাবেন : দিঘা গামী যে কোনো বসে চাউল খোলা নেমে অটোতে মন্দারমণি রামকৃষ্ণ মিশন বললেই যে কোনো অটো আপনাকে পৌঁছে দেবে । বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করুন বিধু মহারাজের সঙ্গে : ৯৫৪৭৫৫৮৮৬৫। অটো লাগলে ফোন করে নিতে পারেন হারুদা কে :৭০০৩২০০২৮৮।সাধারণত যারা সুরাপানের উদ্দেশে মন্দারমণি গিয়ে থাকেন এই জায়গা তাদের জন্য নয় । আশ্রমে মদ্যপান ও ধূমপান কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ ।

