বাঙালির পায়ের তলায় নাকি সর্ষে। ঘুরতে যাওয়ার ব্যাপারে বাঙালির কোনো কম্প্রপাইজ চলবে না। আর শীতকাল পড়লে তো কথাই নেই। বাঙালির দিপুদা এখন আর সেই পছন্দের তালিকায় নেই বললেই চলে। নতুন জায়গার অন্বেষণ ছুটে বেড়ায় বাঙালি। বড়দিনে রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে চার দিনের ছুটি। আর এই ছুটিতে একটা লম্বা ট্যুর না হলে জমেনা। তাই উইকেন্ডে চলে যেতে পারবেন মাত্র একদিনে আর খরচও সাধ্যের মধ্যে,এমনই এক জায়গার সন্ধান দেব আজ।
ইট কাঠ কংক্রিটের বহুতল নেই, ধোয়া ধুলো দূষণ নেই বললেই চলে। মুক্ত অক্সিজেন পাবেন। তেমনি একটি স্থান হলো পারমাদন ফরেস্ট বা বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য। শহর থেকে তার দূরত্ব মাত্র ৮০ কিমি।ছুটিতে যাওয়ার জন্য পারফেক্ট জায়গা। বনগাঁর কাছে পারমাদন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মস্থান হিসেবেই বিখ্যাত। বিভূতি ভূষণের অরন্যের ধারে তার বেড়ে ওঠা।
বাংলাদেশ সীমান্তের খুব কাছাকাছি। শীতের ছুটিতে একদিনের জন্য যাওয়ার একেবারেই উপযুক্ত স্থান এই পারমাদন ফরেস্ট।১৯৯৫ সাল থেকে এই ফরেস্টটিকে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে নামাঙ্কিত করা হয়। ইছামতি নদীর পাড়ে শিমুল শিরিষ গাছের সারি। মিলবে বাঁদর ময়ূর আর খরগোশ। সঙ্গে উপড়ি পাওনা শঙ্খচিল নীলকন্ঠ ফুলটুসি প্রকৃতি পাখিরা।
এছাড়া এখানকার আরেক আকর্ষণ হল হরিণ। ২৫০ এর বেশি হরিণ রয়েছে এই জঙ্গলে।নদীর তীরে ৬৮ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে এই অরণ্য তৈরি হয়েছে। একটি ছোট্ট চিড়িয়াখানা এবং চিলড্রেনস পার্ক রয়েছে ভিতরে। এক রাত্রি থাকার জন্য রয়েছে বনদপ্তরে ট্যুরিস্ট লজ। বনভোজন করতে পারবেন ইচ্ছে হলেই।
ইছামতির বুকে ধোঁয়া উড়িয়ে চলে লঞ্চ।লঞ্চে উঠতে পারবেন সেই জন্য আলাদা প্রবেশ মূল্য রয়েছে। শিয়ালদা টু বনগাগামী যেকোনো ট্রেনে উঠে পড়ুন এরপর একেবারে শেষ স্টপেজ বনগাঁ। সেখান থেকে টোটো বা অটো করে মতিগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড। দত্তফুলিয়া গামী যে কোন বাসে করে পৌঁছে যেতে পারবেন পারমাদনে।

