The calcutta mirror desk: দুর্গাপূজা নিয়ে প্রচলিত রয়েছে নানা মুনির নানা মত। কত গল্প উপন্যাস সিনেমা তৈরি হয়েছে এই বাংলার দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করেই। বিশেষ করে গ্রাম বাংলার দুর্গাপুজগুলির সূচনা নিয়ে প্রচলিত রয়েছে নানা মিথ। দুর্গা ঠাকুর একা আসেন না তার সাথে আসেন তার সন্তানেরা। পাঁচ দিন বাপের বাড়িতে ভুরি ভোজ খেয়ে এরপর শ্বশুর বাড়ির দিকে রওনা হন। কিন্তু এই দুর্গাপূজোয় মায়ের সঙ্গে আসেন না সন্তানরা। শান্তিপুরের রায়বাড়ির পুজো একেবারেই আলাদা। এই পূজাতে চমক রয়েছে কেবল মা। মায়ের সাথে আসেন না ছেলেমেয়েরা। স্বপ্নাদেশ পেয়ে শুরু হয় দেবীর পুজো।
শান্তিপুরের অদ্ভুত পুজো:
শান্তিপুরের রায় বাড়ির ঠাকুরদালানে শুধুই পুজো হয় দেবী দুর্গার । কার সাথে থাকেন না লক্ষ্মী সরস্বতী গণেশ কার্তিক। প্রায় ৫০০ বছর ধরে চলছে এই পুজো। তবে প্রথম দিকে ছিল না দেবী মূর্তিও একটি কুলোকে পুজো করা হতো দেবী জ্ঞানে। কয়েক শতক আগেও হুগলির চুঁচুড়ায় বসবাস ছিল এই পরিবারে। পরিবারের গৃহকর্তা গৌর হরি ঠাকুর গৃহদেবতার পূজার আয়োজন করেছিলেন ঠিক সেই সময়ে আসেন একজন মহিলা তার কাছে চান জল। তৃষ্ণার্ত ঐ মহিলাকে গঙ্গার জল এবং নাড়ু খেতে দেন গৌর হরি ঠাকুর। পরের দিন তিনি পান স্বপ্নাদেশ।
কুলোয় দেবীর পুজো:
যেভাবেই হোক দেবীর পুজো করতে হবে। কিন্তু এত টাকা কোথায় পাবেন কিভাবে করবেন দেবীর পুজো। মায়ের পূজোর জোগাড় করতে তো প্রচুর অর্থের দরকার। কুলোর উপর ছবি এঁকে দেবী পূজার শুরু হয়। নাম দেওয়া হয় কুলো দেবী । সেই সময় মুঘলদের অত্যাচারে আর টিকে থাকতে না পেরে তারা পালিয়ে আসেন শান্তিপুরে। শান্তিপুরে আসার পরেই উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয় তাদের ভাগ্য। সেই থেকে বৃহৎ আকারে দেবীর পুজো শুরু হয়। মাকে আনন্দ নাড়ু, আম এবং কুমড়ো দেওয়া হয় প্রসাদে। দশমীর দিন পায়েস মাখিয়ে বিদায় জানানো হয়।