The Calcutta Mirror Desk :
জ্বর তিন দিনের বেশি থাকা মানেই অনেকে ভেবে নেন ভাইরাল জ্বর। তা নয়। চিকিৎসক রণবীর ভৌমিক জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির জ্বর থাকে ৩-৭ দিন। ওই সময়ে প্রচণ্ড শারীরিক দুর্বলতা থাকে, গায়ে হাত-পায়ে ব্যথা হয়, তীব্র মাথা যন্ত্রণা এবং হালকা শ্বাসকষ্টও হতে পারে। এই সব লক্ষণ দেখেই ওষুধ কিনে খেয়ে ফেলা বা নেটমাধ্যম ঘেঁটে বিভিন্ন ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করতে শুরু করলেই মুশকিল। আগে রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। তাতে ডেঙ্গি ধরা পড়লে তবে চিকিৎসা শুরু হবে।
কোন কোন পরীক্ষা জরুরি ?
প্রথম যে টেস্টটি করাতে হবে তা হল, এনএস১ অ্যান্টিজেন টেস্ট। এই টেস্টের রিপোর্ট দেখে বোঝা যাবে শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে কি না।‘আইজিএম’ ও ‘আইজিজি’ অ্যান্টিবডি টেস্টও করাতে দেন চিকিৎসকেরা। কোন ভাইরাসের সংক্রমণ, তা বোঝা যাবে এতে।
নিউক্লিক অ্যাসিড অ্যামপ্লিফিকেশন টেস্ট’ (এনএএটি)করিয়ে নেওয়াও জরুরি।এই পরীক্ষাটি আরটি-পিসিআর পরীক্ষার মতো, ভাইরাসের জিনগত বৈশিষ্ট্য ধরা পড়ে এতে।
এনএস-১ ও এলাইজা টেস্টের পরে ডেঙ্গি-পজ়িটিভ এলে সেই রোগীকে আলাদা রেখে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। ডেঙ্গি রোগী যদি স্বাভাবিক ভাবে ঘুরে বেড়ান, তা হলে রোগ অনেকের মধ্যে ছড়ানোর আশঙ্কা থেকে যায়।
সতর্কতা
খুব ছোট এবং বয়স্কদের ডেঙ্গিতে ঝুঁকি বেশি। বয়স্কদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, কোমর্বিডিটিও থাকে। তাই এই সময়ে বাইরে বেশি বেরোতে হলে গা-ঢাকা পোশাক পরাই ভাল।