The Calcutta mirror desk: দুর্গা পূজোর বেশ কয়েকদিন আগেই শুরু হয়ে গেল দুর্গাপুজো। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে দুর্গাপূজা নিয়ে রয়েছে নানান মিথ। ক্যালেন্ডারে বিশ্বকর্মা পূজোর পরেই হয় দুর্গাপুজো। কিন্তু এখানে পূজো হয় বিশ্বকর্মা পুজোর অনেক আগেই। বিশ্বকর্মা আসার আগেই চলে আসেন দুর্গাদেবী। ১৬ দিন ধরে চলে দুর্গাপুজো। পুরুলিয়ার রাজরাজেশ্বরী ঠাকুর দালানে ঢাক এবং বাদ্দির সহযোগ শুরু হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুজো। প্রথমে চলে তাদের মৌলিক আগমনী গান আজকে পেলাম তোমায় উমা মনের মাঝে রাখতে চাই। পুরুলিয়ার পঞ্চকোট রাজ পরিবারের দেবিবাড়িতে শুরু হয়ে গিয়েছে পুজো। প্রথমে চাল কুমড়ো বলিদানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই পুজো। কাশিপুর রাজবাড়ী জ্যোতি প্যালেজে ভাদু পুজোর আগেই শুরু হয়ে যায় এই পুজো। পঞ্চকোট রাজ পরিবারের সদস্যরা সিপাহী বিদ্রোহের মূল উদ্যোক্তা। তারাই শুরু করেছিলেন এই পুজো। ২ শকাব্দ থেকে এই পুজো হয়ে আসছে।কুল দেবতার ঠাকুর দালানে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। মা এখানে শিখর বাসিনি অষ্টধাতুর তৈরি। তার একহাতে বরদান এবং অভয়। অন্য হাতে মুন্ডমালা। মহারাজা বিক্রমাদিত্যের দুই বংশধর এই পুজো শুরু করেছিলেন বলেই মনে করা হয়। দামোদর শেখরের নাম অনুযায়ী এই জঙ্গলমহলের নাম হয় শেখর ভুম বা শিখর ভুম। এই রাজবংশের রাজধানী রয়েছে গড় পঞ্চকোট, কেশরগড় কাশিপুর এলাকায়। দেবীকে নিবেদন করা ভোগ কেবল গ্রহণ করতে পারেন রাজ পরিবারের সদস্যরাই। এখনো প্রচলিত রয়েছে বলিদান প্রক্রিয়া। পাঁচ দিন নয় ১৬ দিন ধরে পিতৃপক্ষেই দেবীর আরাধনায় মেতে ওঠে, পুরুলিয়ার এই রাজ পরিবার.