The Calcutta mirror desk: ওরাও করবেন পুজো। সামিল হবেন আনন্দ উৎসবে। দুর্গাপূজো সার্বজনীন। সব ধর্ম বর্ণ এবং জাতির মানুষজন যোগদান করেন এই দুর্গাপুজোতে। তবে এরা এখনো পর্যন্ত অচ্ছুত। তাদের সাথে কথা বলতে ভয় পান সবাই। কিন্তু তারাই এবার দুর্গা পুজোতে একসাথে। এক সময় তারা আক্রান্ত হয়েছিলেন কুষ্ঠ রোগে। আবার তাদের বাবা মায়েরাও আক্রান্ত হয়েছিলেন কুষ্ঠ রোগে। কিন্তু সমাজে যেন কঠিন শাস্তির মুখে পড়েছেন তারা। পুরুলিয়ার আদ্রার মনিপুর লেপ্রসি রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টারে আয়োজন করা হচ্ছে দুর্গাপুজোর। মায়ের ছবি এবং দুর্গোৎসবের নানান রকম কার্টুন ও ব্যানার দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে গোটা জায়গাটি। চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং অনুশীলন। সরকারি তত্ত্বাবধানে এই হোম চললেও পুজো শুরু হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই। সমস্ত দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন ওরাই। রান্নাবান্না থেকে শুরু করে বাজার করা এমনকি মায়ের পুজোতে শামিল হয়ে থাকেন কুষ্ঠ রোগীরা। সমাজ তাদের দূরে সরিয়ে রেখেছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তারা এই পুজোর ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। মা যে আসলে সর্বজনীন তা প্রমাণ করে দিয়েছেন তারাই। পুরুলিয়ার এই প্রত্যন্ত গ্রামে এভাবেই মাতৃ বন্দনায় শামিল হয়ে থাকেন তারা। পূজোর পাঁচ দিন চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং খাওয়া-দাওয়ার সবমিলিয়ে জমজমাট থাকে এই পুজো।