The Calcutta Mirror Desk :
সুভাষ ভৌমিক, সুব্রত ভট্টাচার্য, সঞ্জয় সেন, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের পরে আরও এক বাঙালি কোচকে নিয়ে চর্চা শুরু হতে পারে ফুটবল মহলে।
বছর আটত্রিশের লালকমল ভৌমিকের কোচিংয়ে ৬ বছর পরে কলকাতা ফুটবল লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনে চ্যাম্পিয়ন হতে পারে নতুন ক্লাব ইউনাইটেড স্পোর্টস। তিন প্রধানের দাপট উড়িয়ে ২০১৯ সালে জহর দাসের কোচিংয়ে লিগের ইতিহাসে নয়া চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নাম তুলেছিল পিয়ারলেস ক্লাব। আর ২০২৫ সালের লিগের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে ইউনাইটেড। যার কোচ মোহনবাগান জার্সিতে একশোর বেশি ম্যাচ খেলা মিডফিল্ডার লালকমল।
ইউনাইটেডের পক্ষে কাজটা ভীষণই চ্যালেঞ্জের। কারণ চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে সোমবার সুপার সিক্সে তাদের শেষ ম্যাচটায় জিততেই হবে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। ঘরের মাঠে ড্র করলেই লিগে ৪১ বার খেতাব প্রাপ্তি বিনো জর্জের লাল হলুদ ব্রিগেডের। এমন উত্তেজক ম্যাচের আগেই অবশ্য ট্রফি হাতে উঠবে দেবজিৎ মজুমদার, সৌভিক ঘোষ, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, পিভি বিষ্ণুদের হাতে।
কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম ইস্টবেঙ্গলের হাতে যে ট্রফিটা তুলে দেবেন, সেটা গত মরশুমে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। বিতর্ক রেখেই ইস্টবেঙ্গলকে এই ট্রফি দিচ্ছে আইএফএ , এই ট্রফির অন্যতম দাবিদার ডায়মন্ড হারবারের বক্তব্য, জেলা দায়রা আদালতে লিগ চ্যাম্পিয়নশিপে নিয়ে শুনানি শেষ হওয়ার আগেই আইএফএর এই সিদ্ধান্ত বেআইনি। বিতর্ক যাই থাক, নজিরবিহীনভাবে একই দিনে লিগের ৪০ ও ৪১ তম খেতাব জয়ের জোড়া উৎসবে তৈরি লাল হলুদ শিবির। পুজো উপহার হিসেবেই ক্লাব কর্তৃপক্ষ ম্যাচের কোনও টিকিট রাখেনি।
ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো বলেছেন, ‘সদস্য–সমর্থকদের সামনে ট্রফি নিয়ে উৎসবে মাতার জন্যই আমরা এই ম্যাচে ড্র নয়, জেতার জন্যই নামব। ভক্তদের কাছে আবেদন, আপনারা গ্যালারি ভরিয়ে তুলুন।’