The Calcutta mirror desk: বাংলা বিভিন্ন পুজো কাহিনীতে ছড়িয়ে রয়েছে রহস্য রোমাঞ্চ। কোন পুজো শুরু হয়েছিল দেবীর আদেশ পেয়ে আবার কোন পুজো শুরু হয়েছিল পরম্পরায়। বর্ধমান থেকে কলকাতা বিভিন্ন পুজোর পিছনে রয়েছে এমন নানান অলৌকিক কাহিনী। ঠিক তেমনই রাজার শহর পূর্ব বর্ধমানে দূর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে নানান ইতিহাস। বর্ধমান রাজবাড়ীর পুজোর প্রচলন আজকের নয়। প্রায় ৩৫০ বছর ধরে হয়ে আসছে এই পুজো। মহালয়ার পর দিনেই প্রতিপদে কৃষ্ণ শায়র থেকে জল নিয়ে এসে পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়।। রুপোর ঘটে করে কৃষ্ণ শায়র থেকে জল নিয়ে আসা হয়। বিরাট এক শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। শুধু তাই নয় রূপকথার সেই এক্কা গাড়িতে করে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে কৃষ্ণ শায়র থেকে জল আনা হয়। সোমবার প্রতিপদে বর্ধমানের দেবী সর্বমঙ্গলার পূজো শুরু হয়। প্রথমার দিন থেকেই নবরাত্রি মেনে দেবী সর্বমঙ্গলার পূজো শুরু হয়। ১৭০২ খ্রিস্টাব্দের স্বপ্না দেশ পেয়ে বর্ধমানের রাজা দামোদর নদীর তীর থেকে উদ্ধার করেছিলেন সর্বমঙ্গলার মূর্তি! সেই থেকে বর্ধমান জুড়ে দেবী দুর্গা, সর্বমঙ্গলা নামে পরিচিত! নির্দিষ্ট প্রথা মেনে প্রতিবছর জল উত্তোলন করে শুরু হয় দেবীর পুজো! নিয়মিত হয় চণ্ডীপাঠ নবমীর দিন কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়! ৯ জন কুমারীর পুজোর মধ্য দিয়ে এই কুমারী পূজো হয়। দেবীকে বিভিন্ন রকম ভোগ নিবেদন করা হয়। সর্বমঙ্গলা এখানে কষ্টিপাথরের তিনি অষ্টভুজা। রুপোর সিংহাসনে তিনি বসে থাকেন। আগে সন্ধিপূজায় কামানের শব্দ শোনা যেত। তবে এখন সেসব ঐতিহ্য হারিয়ে গিয়েছে। নবমীতে হয় নবকুমারীর পুজো। আজও দূর দুরান্ত থেকে বহু ভক্তরা ছুটে আসেন দেবী সর্বমঙ্গলার দর্শন করতে।