কেন সবার থেকে আলাদা বেলুড় মঠের পুজো, জেনে নিন স্বামীজীর পুজোর ইতিকথা

0
52

The Calcutta mirror desk: ষষ্ঠী নয় পঞ্চমীতেই এখানে হয় মায়ের বোধন। সালটা ১৯০১ বেলুড় মঠে দুর্গাপুজোর সূচনা করলেন স্বামী বিবেকানন্দ। ওই একই বছর দেহত্যাগ করেন তিনি। বেলুড়মঠে দুর্গাপুজো অন্যান্য পূজোর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। পঞ্চমীর সন্ধ্যাতেই ষষ্ঠীর বোধন হয়েছে এই বেলুড়মঠে। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে বেলুড় মঠে দেবীর বোধন হয়ে গিয়েছে। ষষ্ঠীর দিনেই উমার আমন্ত্রণ এবং অধিবাস সম্পন্ন হয়। বেলুড় মঠে দুর্গাপুজোর ১২৫ তম বর্ষ। প্রতিবছরের মতো এবারেও বেলুড়মঠে রয়েছে নানান চমক। পূজোর প্রতিদিন মা দুর্গার ভোগ আরতির পর পুষ্পাঞ্জলীর আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যা আরতি হয় ঠাকুরের আরতির পর। বেলুড় মঠের পুজো যেন কলকাতায় এক আলাদা আবেগ বহন করে। ঐতিহ্য সংস্কৃতি এবং ভক্তির এক অসাধারণ সংমিশ্রণ ঘটে এই বেলুড় মঠে। জন্মাষ্টমী সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল খুঁটি পুজো নিয়ম মেনে। চিরাচরিত প্রথা মেনে দেবীর কাঠামো পুজোর পর উমার আবাহন শুরু হয়। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা অনুযায়ী সন্ধিপূজো মাতৃ প্রতিমার বিসর্জন সবকিছুই হয়। ২০২৫ সালের ২৯ শে সেপ্টেম্বর ৩০ শে সেপ্টেম্বর ১ অক্টোবর এই তিনদিন ধরে চলবে দুর্গাপুজো! বেলুড়মঠে নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে তা দর্শন করবার সুযোগ পাবেন সাধারণ মানুষ! দুর্গাপুজোর সম্প্রচারের সময়সূচী প্রকাশ করা হবে ডিডি বাংলাতেও! এদিকে প্রথম দিনেই অর্থাৎ পঞ্চমীর সন্ধ্যাতেই অসংখ্য ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে বেলুড়মঠে! ষষ্ঠী সপ্তমী এবং অষ্টমী পর্যন্ত চলবে দেবীর পূজা বোধন! ভোগ বিতরণ এবং দেবীর বিশেষ আরাধনা সম্পন্ন হবে! দেবীকে এখানে মাতৃজ্ঞানে পুজো করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ আর সেভাবেই চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে সেই ঐতিহ্য!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here