The Calcutta mirror desk: শেষ হয়েছে দুর্গাপুজো কৈলাসের পথে গিয়েছেন দেবী । প্যান্ডেল খোলার কাজ চলছে জোর কদমে। আবারো একটা বছরের অপেক্ষা তারপরে আসবেন দেবী দুর্গা। দুর্গা ঠাকুর চলে যেতেই মন ভারাক্রান্ত সকলের। গোটা বাংলার মানুষ যেন কাঁদছে । কিন্তু তার মধ্যেই হাসিতে ফেটে পড়েছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে প্রত্যন্ত গ্রাম খাদিমপুর। কারণ সেখানে শুরু হয়েছে দুর্গাপুজো। দেবী নিজ গৃহে ফেরেন ঠিকই তবে এখানে দেবী চলে আসেন দশমীর পরে। খাদিম পুরের মানুষ এখন আনন্দ উদযাপনের শামিল হয়েছেন। এই খাদিমপুরে যথাযজ্ঞ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে দুর্গা পুজো। তবে দুর্গাপূজা নয় এখানে মা চন্ডীর উপাসনা করেন এলাকার মানুষজন।
দশমীর দিনের জন্যই অপেক্ষা করে থাকেন এখানকার সাধারণ মানুষ তাই সাড়ে ৩০০ বছর ধরে এখানে দশমীর দিন থেকেই মাচণ্ডীর আরাধনা করা হয়।। এখানে চন্ডির চার হাত তিনি এখানে চতুর্ভুজা। শুধু তাই নয় দেবী চন্ডির সাথে এখানে যথাস্থানে থাকেন লক্ষ্মী গণেশ কার্তিক এবং সরস্বতী। তবে এখানে থাকেন না মহিষাসুর। দশমীর দিনে কয়েকশো বছর আগেই প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত হয়েছিল এখানকার সাধারণ মানুষ এরপর দেবী চন্ডিকে স্মরণ করে বিপদমুক্ত করবার জন্য এই পুজো করা হতো। বহু মানুষের প্রাণ চলে যায় অনেক ফসল সেই সময় নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে দেবীকে সন্তুষ্ট করবার জন্য এই পুজোর আয়োজন করা হয়।
এখানকার মানুষ বলাইচণ্ডীর পুজো করেন। বলাইচন্ডী ঠাকুরের মহিমা শুনে দূর দূরান্ত থেকে বহু ভক্তরা ছুটে আসেন। বলা বাহুল্য এখানে বিজয়ার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় মাচণ্ডীড় আরাধনা। দেবীর কৃপায় সকলেই থাকেন দুধে ভাতে