The Calcutta mirror desk: ঐতিহ্যময়ী বামা কালী। তার ভাসান দেখতে ভিড় জমান অসংখ্য মানুষ। বারবার যেন নেচে ওঠেন দেবী শ্যামা। তার সেই রুদ্ররূপ দেখে ভয় পাও তো দূরের কথা বরং সাধারণ মানুষের মধ্যে যেন ভক্তি আর বিশ্বাসের এক আবহাওয়া তৈরি হয়। তার শোভাযাত্রা শান্তিপুর বাসির মনে গেঁথে যায়। ভক্তদের সঙ্গে নেচে ওঠেন তিনি। নাম তার বোম্বেটে কালী।
তবে অপভ্রংশ হয়ে তার নাম হয়ে উঠেছে বামা কালী। কেউ কেউ বলে থাকেন স্বয়ং বামাক্ষ্যাপা শান্তিপুরে এসে এই কালীপুজোর সূচনা করেছিলেন। যদিও সেসব গল্পকথা। শান্তিপুরের মূল আকর্ষণ এই দেবী। তার চাহনি দিয়ে যেন গিলে খেতে পারেন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে। তার পায়ের কাছে অবস্থান শিবের। রুদ্র তার রূপ বিরাট তার চেহারা। বিসর্জনের আগে শোভাযাত্রায় তার নাচ দেখে যেন গায়ে কাঁটা দেয়। এই শোভাযাত্রার রয়েছে এক বিশেষ বিশেষত্ব। এই সময়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় শহরের সমস্ত আলো। কেবল বামা কালীর সাথে নাচে মেতে ওঠেন সকলে। এই শোভা যাত্রার সময় কেবল জ্বলে ওঠে মশাল। উগ্র-রূপী দেবী, তখন এই রুদ্ররূপ ধারণ করেন এবং নেচে ওঠেন। ভয়ংকর এই দৃশ্য চাক্ষুষ করতে শান্তিপুরে ছুটে আসেন দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য ভক্তরা।
৫০০ বছরের পুরনো এই পুজো শোনা যেত আগে এই পুজোতে কোন আলো জ্বলতো না। কেবল মশাল নিয়েই দেবীর পূজা করা হতো। তবে ধীরে ধীরে সভ্যতা এগিয়ে গিয়েছে। বর্তমানে দেবীর পূজা করতে মশাল অপরিহার্য।পুজোর পরে দেবী মূর্তিকে মন্ডপ থেকে বের করে আনা হয়। এরপরই শুরু হয় বিসর্জনের প্রস্তুতি। শান্তিপুরের গঙ্গা পর্যন্ত দেবীকে বাঁশের মাচায় করে নিয়ে যাওয়া হয়।।


