The Calcutta mirror desk: হারিয়েছিলেন সন্তান। সন্তান হারানোর বেদনার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে করুণাময়ী মন্দিরের পুজো। উত্তম কুমার মেট্রো স্টেশন থেকে এগিয়ে গিয়েই বেহালা চৌরাস্তা ঠাকুরপুকুরের কাছে রয়েছে করুণাময়ী কালী মন্দির। বরিশার সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের সদস্য গোপাল রায় চৌধুরীর একমাত্র কন্যা করুণাময়ীর মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি।
তাই করুণাময়ী নামে এই মন্দির স্থাপন করা হয়েছিল। মেয়ের নামেই এই মন্দিরের দেবিকালির আরাধনা করতেন তারা। এক সময় মেয়ে করুণাময়ী তাদের স্বপ্নে দেখা দেন। একটি কোষ্ঠী পাথরে তার পুজো করতে অনুরোধ করেন বাবার কাছে। সেই মতন আদি গঙ্গা থেকে একটি কোষ্ঠী পাথর কুড়িয়ে তাতেই করুণাময়ী রূপে পূজা করা হয়। ১৭৬০ সালে আদি গঙ্গার পাড়ে মন্দির তৈরি করেন নন্দদুলাল। টালিগঞ্জের সেই মন্দিরে কোষ্ঠী পাথরে দেবীর পূজা করা হয়। নন্দদুলাল কালি সাধক রূপে পরিচিতি পান। এই প্রতিমার নাম তিনি মেয়ের নামানুসারে রেখেছিলেন। তাই প্রতিমার নামকরণ করা হয় করুণাময়ী। এখানে মেয়ে হিসেবে পুজো করা হয় তাকে। মেয়ে হিসেবে পূজো করায় এখানে দেবীর মূর্তি স্থির শান্ত এবং সৌম্য। এখানে নিয়মিত দেবীকে ভোগ নিবেদন করা হয় এছাড়া কালীপুজোর সময় বিশেষ পূজা অর্চনা করা হয়।
সাধারণ মানুষ থেকে অসংখ্য সেলিব্রিটিরা ছুটে আসেন এখানে দেবীর দর্শন পেতে। গোপাল রায়চৌধুরী না থাকলেও তার পরিবারের সদস্যরা এখনো পর্যন্ত এই মন্দিরের পূজোর যাবতীয় দায়িত্ব বহন করে আসেন। সন্তান হারানোর যন্ত্রণা বুকে নিয়েই যে মৃন্ময়ী সন্তানকে পুজো শুরু করেছিলেন তারা তার কৃপাতেই ফের সন্তান প্রাপ্তি হয় গোপাল রায় চৌধুরীর।