The Calcutta mirror desk: চোখের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন দেবি কালী। তারপর থেকেই বহুল প্রচলিত হাওড়ার হাজার হাতের কালি। প্রতিবছর কালীপুজোর দিন সারম্বরে পুজিত হন তিনি। হাওড়া শিবপুরে এই কালির পূজা করা হয় যার হাত চারটি নয় হাজারটি। এই মন্দিরের প্রার্থনা করে নিজের চোখে দৃষ্টি ফিরে পেয়েছিলেন দক্ষিণ ভারতের এক ব্যক্তি।
বেশ কয়েক বছর আগে শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষে শুক্রবার তিনি এসেছিলেন মায়ের কাছে। এখানে এসেই মায়ের কাছে তিনি নিবেদন করেছিলেন তার চোখের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে। হাজার হাতের দেবী যেন দুই হাত ভরে সেদিন তাকে আশীর্বাদ করেছিলেন। এক বছরের মধ্যে চোখের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছিলেন তিনি। এই মন্দির তৈরি করেছিলেন কলকাতার চোরবাগানের তান্ত্রিক। চোর বাগানের আশুতোষ মুখোপাধ্যায় এই মন্দির তৈরি করেছিলেন। এই মন্দিরের শুধু পুজোয় নয় এখানে চলে বিশেষ আরাধনা। পুজো পাঠ ধ্যান সাধনা, সবকিছুই চলে এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে। একবার স্বপ্নে তিনি দেখেছিলেন দেবী হাজার হাত দিয়ে ভোগ খাচ্ছেন। সেই থেকেই শিবপুরের ওলা বিবি তলায় তিনি এই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন।
হাজার হাতের এই কালিকে দেখার জন্য দূরদূরান্ত থেকে বহু ভক্তরা ছুটে আসেন কুমোরটুলির প্রিয়নাথ পাল এই বিগ্রহ তৈরি করেন। ১৮৭০ সালে তিনি এই বিদ্রোহ তৈরি করেছিলেন। বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন মাটি দিয়ে দেবীর মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই মন্দির নাকি একবার ভেঙ্গেও দেওয়া হয়েছিল পরে আবার সিমেন্ট এবং পাথর দিয়ে এই মন্দির নির্মাণ করা হয়।