শাখা পড়তে চেয়েছিলেন কালি, আজও বেঁধে রাখা হয় দেবীর মূর্তি, কোথায় রয়েছে এই মন্দির

0
18

The Calcutta mirror desk: একসময় জঙ্গলে ঘেরা ছিল মালদহের এই এলাকা। প্রায় ৩০০ বছর আগের কথা। এই এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে পুনর্ভবা নদী। রাতের অন্ধকারে নদী পেরিয়ে এখানে মশাল জ্বালিয়ে পুজো করতে আসতেন ডাকাতের দল। সেই থেকেই ডাকাত কালী রূপে পুজিত হন দেবী।

মশাল জ্বালানোর এই রীতি আজও প্রচলিত রয়েছে। তবে ডাকাতরা না থাকায় সাধারণ মানুষ মশাল জ্বালিয়ে পূজা করেন। কথিত আছে একসময় এক ব্রিটিশ জমিদার এই পরিত্যক্ত জায়গায় একটি পূজোর বেদি খুঁজে পেয়েছিলেন। সেখানে এরপরে নতুন করে শুরু হয়ে যায় দেবীর পূজা। পরিত্যক্ত জঙ্গলেই ডাকাত কালীর আরাধনা করা হয়। ধীরে ধীরে সেই জমিদারের বংশধরদের কাঁধে এই পূজোর সমস্ত দায়িত্ব অর্পিত হয়। একটি মন্দির তৈরি করা হয় এখানে। এই মন্দিরটা কেন্দ্র করে রয়েছে একাধিক জনশ্রুতি যা শুনলেই গায়ে কাঁটা দেবে। বলা হয় দেবীর সামনে যখন পাঁঠা বলি হয় তখন তাকে বেঁধে রাখতে হয়। যদিও এই পাঁঠা গুলির নিয়ম এখন আর নেই। চক্ষুদানের সময় নাকি দেবী মূর্তি প্রচন্ড জোরে দুলতে থাকে। সেই সময় দেবী নাকি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হতো দেবীর মন্দিরের দরজা। একসময় মন্দিরের পাশ দিয়ে শাখা বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন একজন শাখারী। একটি ছোট্ট মেয়ে তার কাছে গিয়ে শাখা পড়তে চান। কিন্তু শাঁখার দাম দিতে তিনি অস্বীকার করেন বলে দেন মন্দিরের পূজারী তার বাবা।এরপর শাঁখারী মন্দিরের পূজারীর কাছে দাম চাইলে তিনি অবাক হয়ে যান

। হঠাৎ করেই পুনর্ভাবা নদীতে ভেসে ওঠে একটি মেয়ের শাঁখা পরা হাত। বুঝতে বাকি থাকে না এই মেয়েটি আসলে কে। এরপরই মন্দিরের পুরোহিত শাখার দাম চুকিয়ে দেন। এরপর থেকেই দেবী মাহাত্ম্য যেন আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়ে। ডাকাত কালীর পুজো মালদহে অত্যন্ত জনপ্রিয় শক্তি আরাধনার স্থল হিসেবে বিখ্যাত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here