The Calcutta Mirror Desk :
দেড়শো বছর আগে সূচনা হয়েছিল মাতৃ বন্দনার। সূচনা করেছিলেন হরিলাল সাহা। দেশ তখন ভাগ হয়েছে। সেই যন্ত্রণা বুকে চেপেই ঢাকার আগলা গালিমপুর থেকে পরিবার নিয়ে এই দেশে পা রেখেছিলেন হরিলাল। কিন্তু পদ্মার ও পারে যে পুজো শুরু হয়েছিল, তা তো এ পারে এসে একেবারে বন্ধ। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন হরিলাল।
শেষে আর পারলেন না। এক বছর ঠিক করে ফেললেন, যাবতীয় কষ্ট সহ্য করেই পুজো করবেন। পুজো শুরু হতে তখন মাত্র তিন দিন বাকি। সেই সময়ে নিজের বাড়িও ছিল না। পরিবার নিয়ে থাকতেন ভাড়া বাড়িতে। অনেক আর্থিক প্রতিকূলতা অতিক্রম করে ঘটেই আরাধনা করলেন দুর্গার। সেই শুরু। বর্ধমান শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনপল্লির সাহাবাড়ির পুজো রীতিমতো জনপ্রিয় পুজোয় পরিণত হয়েছে।
সাহাবাড়ির পুজো শুরু হয় ভাদ্র মাস থেকে। মাস পড়ার ১৪ নম্বর দিনে প্রতিমার কাঠামো তোলা হয় মন্দিরে। সেখানে তিন দিন ধরে চলে পুজো। ১৭ নম্বর দিনে হয় কাঠামোর পুজো। দীর্ঘ সেই প্রথায় পরিবর্তন হয়নি। পারিবারিক রীতি মেনে বাড়ির সকলে নিরামিষ খাওয়া শুরু করেন। কার্তিক মাস না-পড়া পর্যন্ত বাড়িতে ঢোকে না কোনও ধরনের আমিষ খাবার।
সাহা বাড়িতে মায়ের আরাধনায় বাড়ির মেয়েকে যত্ন করার মতোই। পুজোর সময়ে মেয়ে বাড়িতে ফিরলে যে ভাবে আদরে তাকে বরণ করা হয়, এই পুজোয় তারই প্রতিফলন। পুজোর দিনগুলোতে প্রতিমার সামনে সাজানো থাকে তত্ত্বের নানা উপকরণ। প্রত্যেক দিন দেওয়া হয় নানা ধরনের ভোগও।