The Calcutta Mirror Desk :
বাঙালির কাছে বিশ্বকর্মা পুজো মানেই দুর্গাপুজোর ঘণ্টা বেজে গেল। আকাশে ঘুড়ির মেলা মন নিয়ে যায় সেই ছোটবেলায়। দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার আরাধনা যেন এই বঙ্গভূমিতে নিয়ে আসে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উত্সব দুর্গাপুজোর আগমন বার্তা। আগামিকাল ১৭ সেপ্টেম্বর বুধবার পালিত হবে বিশ্বকর্মা পুজো। সাধারণত বেশিরভাগ কল-কারখানায় বিশ্বকর্মার পুজো হলেও এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে ঘুড়ি উত্সব। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ঘুড়ি না ওড়ালে যেন সবটাই ফাঁকা ফাঁকা লাগে।
কেন বিশ্বকর্মা পুজোর তারিখ বদলায় না ?
ছোটবেলা থেকেই দুর্গাপুজোর আগমনী ঘণ্টা হিসেবে জড়িয়ে আছে বিশ্বকর্মা পুজো। কিন্তু তখন থেকেই বিশ্বকর্মা পুজো ঘিরে একটা প্রশ্ন মনে বারবার উঁকি মেরেছে। তা হল অন্য সব দেব-দেবীর পুজোয় ক্যালেন্ডারে কোনও নির্দিষ্ট দিন না থাকলেও কেন বিশ্বকর্মা পুজো প্রায় প্রতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর উদযাপিত হয়? বিদ্যার দেবী সরস্বতী, অর্থের দেবী লক্ষ্মী বা শক্তির দেবী দুর্গা-কালী সবার পুজোরই কোনও বাঁধাধরা তারিখ নেই। কিন্তু দেবশিল্পী বা দেবতাদের ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বকর্মার পুজো মানেই ১৭ সেপ্টেম্বর। ইংরেজি ক্যালেন্ডারে এই দিনটি কেন স্থির তা জানতে একটু পঞ্জিকা উলটে দেখতে হবে।
হিন্দু ধর্মে সব দেব-দেবীরই পুজোর তিথি স্থির হয় চাঁদের গতি প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। এই বিষয়ে চান্দ্র পঞ্জিকা অনুসরণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু বিশ্বকর্মার পুজোর তিথি স্থির হয় সূর্যের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে। যখন সূর্য সিংহ রাশি থেকে কন্যা রাশিতে গমন করে, তখনই সময় আসে উত্তরায়ণের। দেবতারা নিদ্রা থেকে জেগে ওঠেন এবং শুরু হয় বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন। হিন্দু পঞ্জিকার দুই প্রধান শাখা সূর্যসিদ্ধান্ত এবং বিশুদ্ধসিদ্ধান্ত- উভয়েই এই বিষয়ে একমত। সূর্য যেহেতু প্রতি রাশিতে মোটামুটি এক মাস করে অবস্থান করে, তাই বিভিন্ন রাশিতে সূর্যের গোচরের দিন স্থির। প্রায় প্রতি বছরই সূর্য ১৭ সেপ্টেম্বর কন্যা রাশিতে গোচর করে, আর সেদিনই হয় বিশ্বকর্মা পুজো