ফের মহামারীর চোখরাঙানি ! ইতিমধ্যেই লকডাউন ঘোষণা বিভিন্ন শহরে

0
55

The Calcutta Mirror Desk : 

ফের মহামারীর চোখরাঙানি। মারণরোগে মৃত্যু বাড়ছে হু হু করে। মৃত্য়ু হার ৯০ শতাংশ। ইতিমধ্যেই লক ডাউন ঘোষণা বিভিন্ন শহরে। অতিমারীর আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

ভয়াবহ ইবোলার কোপে কঙ্গো! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, কঙ্গোতে ইতিমধ্যেই নতুন করে আরও ৪৮ জন ইবোলা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে ৩১ জনই মারা গিয়েছেন। চলমান ইবোলা সংকটে মৃত্যুর হার ৬৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বর্তমানে জাইরে ইবোলাভাইরাস প্রজাতির ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। যার সংক্রমণে ৩৬ থেকে ৯০ শতাংশ রোগীর মৃত্যু অবধারিত। ওদিকে সুদান ভাইরাসের কারণে দেখা যাচ্ছে ইবোলা হেমোরেজিক জ্বর। যা বিরল হলেও, গুরুতর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।

সংক্রমণ রোধে ইতিমধ্যেই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বহু এলাকায় বাসিন্দাদের গৃহবন্দি মানে কোয়ারেনটাইনে থাকতে বলা হয়েছে। এমনকি সংক্রামিত এলাকায় যাতায়াত আটকানোর জন্য বসানো হয়েছে একাধিক চেকপয়েন্টও।

ইবোলার সংক্রমণ রুখতে দেওয়া হচ্ছে টিকা। কঙ্গোর কাসাই প্রদেশের বুলাপেতে ইবোলার হটস্পট। সেখানে প্রাথমিকভাবে এরভেবো ভ্যাকসিনের ৪০০ ডোজ দেওয়া হয়েছে। আরও ১৬০০ ডোজ পাঠানো হচ্ছে।

ইবোলার জন্য বর্তমানে এফডিএ অনুমোদিত দুটি চিকিৎসা পদ্ধতি হল- ইনমাজেব এবং এবাঙ্গা। ইবোলা সংক্রামিত ব্যক্তির রক্ত ​​বা শরীরের অন্যান্য তরলের সংস্পর্শের মাধ্যমেই ছড়াচ্ছে এই ভয়ংকর রোগ।

সেইসঙ্গে দূষিত বস্তু বা সংক্রামিত বাদুড় বা অন্য কোনও প্রাণীর সংস্পর্শের এলেও ছড়ায় এই রোগ। এই রোগের প্রাথমিক লক্ষ্মণের মধ্যে রয়েছে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশীতে যন্ত্রণা, দুর্বলতা, ডায়রিয়া, বমি, পেটে ব্যথা ও রক্তপাত।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ইবোলার সংক্রমণের খবর মিলেছে। ওদিকে কঙ্গোতে এর আগেও ইবোলার সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিয়েছে। ১৯৭৬ সাল থেকে কঙ্গোতে ইবোলার সংক্রমণ শুরু।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here