The Calcutta Mirror Desk :
1758 সালে বাংলার গভর্নর লর্ড ক্লাইভের সাহায্যে জমিদারি প্রথার পত্তন করেছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র বসু ৷ ব্রিটিশ ভারতে অবিভক্ত বাংলার, বর্তমান বাংলাদেশ থেকে কৃষ্ণচন্দ্র বসুকে দক্ষিণ বারাসতে নিয়ে আসেন লর্ড ক্লাইভ ৷ দেওয়ানি ব্যবস্থায় বর্তমান দক্ষিণ 24 পরগনার দক্ষিণ বারাসতে বেশ কিছু অঞ্চলের দেওয়ানি পান কৃষ্ণচন্দ্র বসু ৷ সেখানেই শুরু হয় তার জমিদারি ৷ আর সেই জমিদারিকে আরও মজবুত ও প্রভাবশালী করতে দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র বসু ৷
কথিত আছে, তিনি নাকি স্বপ্নে দেবী দুর্গার আদেশ পান ৷ তাঁকে দুর্গাপুজোর শুরু করতে বলেন ৷ সেই মতো তৈরি হয় শিবমন্দির এবং শুরু হয় দুর্গাপুজো ৷ সেই থেকে চলে আসছে এই পুজো ৷ বর্তমান প্রজন্ম সেই রীতি অনুযায়ী দুর্গাপুজো চালিয়ে যাচ্ছে ৷ শোনা যায়, কৃষ্ণচন্দ্র বসুর জমিদারির সময়কালে দুর্গাপুজোতে আমন্ত্রিত হতেন ব্রিটিশ আধিকারিকেরা ৷ তাঁর আতিথেয়তায় প্রসন্ন হয়ে কৃষ্ণচন্দ্র বসুকে ‘রাজা’ উপাধি দিয়েছিল তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার ৷
তবে, সেই সুবিশাল বাড়ি এখন জরাজীর্ণ ৷ পুজোর আয়োজনের জৌলুসও কমেছে ৷ কিন্তু, কালের গর্ভে তলিয়ে যায়নি ৷ অতীতে জমিদারের অধীনস্থ প্রজাদের বর্তমান প্রজন্মও বসু বাড়ির পুজোয় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পুজোর আয়োজন করেন ৷ তবে, অন্যান্য পুজোর মতো এখানে দেবী দুর্গার আরাধনা হয় না ৷ কৃষ্ণ নবমী থেকে এই পুজোর সূচনা হয় ৷ টানা 15 দিন ধরে বসু পরিবারে চলে দুর্গাপুজো ৷ হয় চণ্ডীপাঠ ৷ এই সময় দেবী চণ্ডীর ঘটে এক হাজার বেল পাতা ও এক হাজার তুলসী পাতা দেওয়া হয় ৷


