দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :
বাতাসে বিষাদের সুর। কৈলাস ফিরে গিয়েছেন মা। আবার এক বছরের অপেক্ষা। মনখারাপ সকলের। কিন্তু একেবারে উলটো ছবি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের কমলাবাড়ি (২) এর প্রত্যন্ত খাদিমপুর গ্রামের। দশমীতে মন খারাপ হয় না এখানকার বাসিন্দাদের। বরং অপেক্ষায় থাকেন তাঁরা। কারণ, এই দিনেই যে তাঁরা মেতে ওঠেন চতুর্ভুজা দেবী চণ্ডীর পুজোয়। সকলের কাছে যা পুজোর সমাপ্তি, তাঁদের কাছে সেটাই সূচনা।
কয়েক বছর নয়, প্রায় সাড়ে তিনশো বছর ধরে এই প্রত্যন্ত গ্রামে দশমীর দিন থেকেই দেবীর আরাধনা শুরু হয়! এমনটাই জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মায়ের রূপ এখানে অনেকটাই আলাদা। চতুর্ভুজা দেবীচণ্ডী সিংহের উপর বসে বলাইচণ্ডী রূপে পূজিত হন। তবে মহিষাসুর নেই। তবে দেবীর পাশে লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক, সরস্বতীর দেবী স্বমহিমায়। পুজোর শেষে রাতভর দেবী চণ্ডী মন্দির চাতালে ভক্তরা শতাধিক পাঁঠা উৎসর্গ করেন। পুজো একদিনের। তবে পুজো উপলক্ষে মেলা চলবে শনিবার পর্যন্ত।