The Calcutta mirror desk: ভেসে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গ। উত্তরবঙ্গে বিভিন্ন জেলায় জেলায় অতি বৃষ্টির ফলে ঘরবাড়ি থেকে সম্পত্তি সবকিছুই ভেসেছে। উদ্বাস্ত হয়ে গিয়েছেন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মানুষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং জেলায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং পৌঁছে গিয়েছেন ত্রাণ নিয়ে। সিনেমা জগত থেকে সমাজসেবীরা সকলেই পৌঁছে গিয়েছেন সেখানে। এর মাঝেই দক্ষিণ বঙ্গের জন্য খারাপ খবর। ৮ থেকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের ঝারগ্রাম পশ্চিম মেদিনীপুর পূর্ব মেদিনীপুর হাওড়া হুগলি নদীয়া প্রভৃতি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঘন্টায় প্রায় ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে
। ১৪ ই অক্টোবরের মধ্যে যদিও আবহাওয়া অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে। এবার আসবে শীত। ভোরের তাপমাত্রা অনেকটাই কমে যাবে। সাধারণত পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম অঞ্চল গুলিতে খুব তাড়াতাড়ি শীত পড়ে। ১৩ই অক্টোবরের মধ্যে উত্তরবঙ্গ থেকে ধীরে ধীরে বিদায় নেবে বর্ষা অনেকটাই স্বাভাবিক হতে চলেছে পরিস্থিতি। ২০ শে অক্টোবরের মধ্যে উত্তরবঙ্গ ভ্রমণে আর কোনো রকম নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে না। ঝলমলে আকাশ সেই সঙ্গে রোদের মুখ দেখা যাবে। কাঞ্চনজঙ্ঘার দর্শন পাওয়া যাবে সহজেই।১৫ই অক্টোবরের মধ্যে উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করবে শীত। জাকিয়ে শীত না পড়লেও বেশ ভালই ঠান্ডা অনুভূত হবে। তাপমাত্রা কমতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাগুলিতেও।
মৌসম পবন বলছে ২৫ শে অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বরের মধ্যে হালকা শীতের আমেজ চলে আসবে। তবে বেলা বাড়লে কিছুটা গরম অনুভূত হলেও রাতের দিকে আবার হেমন্তের পরিবেশ। উত্তরবঙ্গে চলছে বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি বৃষ্টি কোথাও লাল সর্তকতা জারি রয়েছে এখনো। কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায় বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা রয়েছে। ঝাড়খন্ডে রয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি কমে যাবে। স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি বাতাসে কমবে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ।