যেতে চান না শশুরবাড়ি, এই দুর্গা প্রতিমার কোনদিনও হয়না বিসর্জন

0
27

The Calcutta mirror desk: দশমী মানেই উমার ফিরে যাওয়ার পালা। নিজের বাড়ি কৈলাসের দিকে রওনা হন তিনি । কেবল এই পাঁচদিনের জন্যই বাপের বাড়িতে আসেন দুর্গা। মা চলে গেলে মন খারাপ হয় না কার। দশমীর বিদায় ঘন্টা বাজলেই নিজের স্বামীর বাড়ি যাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন মা দুর্গা। তার পাঁচ জন ছেলে মেয়েকে নিয়ে তিনি রওনা দেন কৈলাসের উদ্দেশ্যে। কিন্তু সব সময় কি মেয়ের যেতে ইচ্ছে করে শ্বশুর বাড়িতে। তাইতো এখানে উমা আর শ্বশুর বাড়িতে ফেরেন না থাকেন বাবার বাড়িতেই।

 

 

 

 

জেদ ধরে যদি মেয়ে বসে থাকে তবে আর কার কি করার থাকে। তাইতো এখানে মেয়ে চিরজীবনের মতন বাপের বাড়িতেই থাকেন। এমনই রীতি বারানসির মদনপুরে বাঙালি বাড়িতে। বারানসের মদনপুরের বাঙালিটোলার বাসিন্দা মুখোপাধ্যায় বাড়িতে এটাই রীতি। এখান থেকে মা আর ফেরেন না নিজের বাড়িতে। ২৫০ বছরের এই দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়নি তার কারণ উমার জেদ। পরিবারের কর্তা কালীপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় কাশি নিবাসী হয়েছিলেন। এরপর বারাণসীতে তিনি একটি বাড়ি তৈরি করেন। ১৭৬৭ সালে এখানেই প্রথমবার দুর্গাপুজো শুরু করেন তিনি যাবতীয় রীতিনীতি মেনে বাঙালি বাড়িতে পূজা করা হয়। একচালা ঠাকুর।

 

 

 

 

বিসর্জনের সময় প্রথম থেকেই দেবীকে কিছুতেই নড়ানো যায় না। অনেকে মিলে চেষ্টা করলেও তাকে কিছুতেই সরানো যায় না বেদি থেকে। সেই সময়ে পালোয়ানদের ডেকে পাঠান মুখোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরা তারাও ব্যর্থ হন। সেই থেকেই দশভূজা এখানে স্থায়ী ভাবে থাকেন। এখনো প্রতি শারদ উৎসবের পরে মাকে বিসর্জন দেওয়া হয় না। বরং নতুন করে গয়না শাড়ি পরানো হয়।। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর মায়ের অঙ্গরাগ করানো হয়।। শ্বশুরবাড়িতে নয় বাপের বাড়িতেই দিব্যি থাকেন উমা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here