The Calcutta mirror desk: উমা চলে গিয়েছেন নিজের বাড়িতে। কিন্তু এখনো তার রেশ হয়ে গিয়েছে। বাংলায় এখনো বিভিন্ন প্রান্তে ঠাকুর বিসর্জন পর্ব চলছে। একই পর্ব চলছে ভূস্বর্গ অর্থাৎ কাশ্মীরেও। কাশ্মীরে রয়েছে বহু বাঙালি। সুন্দর শোভাময় এই কাশ্মীরে দেবী দুর্গা পুজিত হন নানান রূপে। দশমী তিথিতে ৫ দিন ধরে চলা এই দুর্গা পূজার পরিসমাপ্তি ঘটে। দুর্গাপূজোর শেষ হতেই বাঙ্গালীরা ভেসে যান আবেগে।
বাংলা হোক কিংবা কাশ্মীর এই আবেগ কোথাও কম থাকে না। শ্রী সনাতন প্রতাপ সভা শিব মন্দিরে আয়োজন করা হয়েছিল এই দুর্গাপুজোর পাঁচ দিন ধরে চলে এই দুর্গাপূজার সঙ্গে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বহর। দশমীর দিন সিঁদুর খেলা এবং বরণ সম্পন্ন হয়। ঢাক বাজিয়ে প্রতিমা বিসর্জনের উদ্দেশ্যে যান অসংখ্য বাঙালিরা। গানের তালে তালে নেচে ওঠেন তারা একইসঙ্গে ঢাক বাজানো হয়। শ্রীনগরের লাল চকে এদিন অসংখ্য মানুষ লাল সিঁদুরে সেজে উঠেছিলেন। এদিন অসংখ্য মানুষের ভিড় চোখে পড়ে। ভূস্বর্গ কাশ্মীর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল একমাস আগেও। তবে এখন অনেকটাই শান্ত রয়েছে পরিস্থিতি। এদিন শুধুমাত্র সিঁদুর খেলা নয় আবির খেলাও সম্পন্ন হয়। একাদশীর দিনেও ঘাটে-ঘাটে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে।
কেউ কেউ বলছেন এত শ্রীনগর নয় সাক্ষাৎ কলকাতা। তবে শুধু ওই একটি মন্দির নয় কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি মন্দির এবং বারোয়ারি এলাকায় এই দুর্গা পূজার আয়োজন করা হয়েছিল। দুর্গা পুজোতে মেতে উঠতে প্রথম থেকেই তৎপর ছিলেন কাশ্মীরের প্রবাসী বাঙালিরা। কোনরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই কাশ্মীরে দেবী দুর্গার আবাহন এবং বিসর্জন সম্পন্ন হয়।