এসেছিলেন আশা ভোঁসলে থেকে অমিতাভ বচ্চন, কলকাতায় এই বিখ্যাত কালীর নাম শুনেছেন

0
85

The Calcutta mirror desk: বলিউড থেকে টলিউডের অভিনেতারা ভিড় করতেন এই কালিকে দেখতে। কলকাতার ফাটাকেষ্ট কালীর মাহাত্ম্য একসময় ছড়িয়ে পড়েছিল কলকাতা থেকে মুম্বাইয়ের দোরগোড়ায়। কলকাতায় প্রথম ডন ছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র দত্ত তার উদ্যোগেই শুরু হয়েছিল এই ফাটাকেষ্ট কালীপুজো।

১৯৯২ সালের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি সেই দাপুটে ব্যক্তি না থাকলেও এখনো চলছে ফাটাকেষ্ট কালীর পুজো। দাপটের সঙ্গে আজও পূজিত হয়ে আসছেন এই কালি। এই কালির অন্যতম বিশেষত্ব তার শরীরে রং সম্পূর্ণ নীল পটলচেরা তার চোখ। তাকে দেখলেই যেন ভুবন ভরে যায়। কুমোরটুলিতে দেবীর মূর্তি তৈরি হয়। ঠিক দুর্গাপূজার দশ দিন পর থেকেই শুরু হয়ে যায় মূর্তি তৈরির প্রস্তুতি। এরপরেই করা হয় দেবীর চক্ষুদান। বিশাল শোভাযাত্রার মাধ্যমে ঠাকুরকে নিয়ে আসা হয় পুজোর স্থানে। এরপর প্রায় পাঁচ দিন ধরে চলে পুজো অর্চনা। শুধুমাত্র কলকাতার মানুষ নয় দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ ছুটে আসেন দেবীর কাছে মনের কথা জানান

। এখানে এসেছিলেন অমিতাভ বচ্চন থেকে আর ডি বর্মন উত্তম কুমার আশা ভোঁসলে সকলেই। মায়ের কাছে তারা নানান রকম মানসিক করে গিয়েছেন আর তা ফলে গেলেই চলে আসতেন মায়ের কাছে। কুমোরটুলি থেকে ফাটাকেষটো ঠাকুর যখন বেরোয় তখন আর অন্য কোন ঠাকুর মণ্ডপের উদ্দেশ্যে যায় না। কিন্তু প্রশ্ন হল কিভাবে যাবেন এই ফাটাকেষটো ঠাকুর দেখতে। উত্তর কলকাতার আমহার স্ট্রীট এবং কলেজস্ট্রিটের মাঝখানে ফাটাকেস্ট কালির পুজো করা হয়। বলা বাহুল্য, এমএলএ ফাটাকেস্ট সিনেমাটি অনুপ্রাণিত হয়েছিল এই পুজো থেকেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here