The Calcutta mirror desk: মা কালীর ভোগ মানেই তাতে থাকে খিচুড়ি অথবা নানান রকম আমিষ পদ। কিন্তু এখানে মা খেতে ভালোবাসেন চাইনিজ খাবার। তাকে দেওয়া হয় চাউমিন মোগলাই এগরোল। দেবী এখানে খেতে ভালোবাসেন স্টিকি রাইস এবং নানান রকম সবজি। টেংরা অর্থাৎ চায়না টাউনের কাছেই রয়েছে এমনই এক কালী মন্দির। একে চাইনিজ কালী মন্দির বলে অভিহিত করা হয়। সেখানে দেবীর ভোগের প্রসাদ মানেই চিনা সংস্কৃতির মেলবন্ধন।
১৮০০ খ্রিস্টাব্দে চীনারা এসেছিলেন ভারতবর্ষে! সেই সময় থেকেই কলকাতায় তারা চামড়ার ব্যবসা শুরু করেন! আর তখন থেকেই শুরু হয় দেবীর পুজো! তবে আগে এখানে ছিল না কোন মন্দির একটি গাছের তলায় করা হতো পুজো, পরে ধীরে ধীরে মন্দির তৈরি করা হয়।। গাছের তলায় দেবীর মূর্তিতে মাখানো হতো সিঁদুর। একসময় চীনা শিশুর কঠিন অসুখ হয়েছিল কিছুতেই চিকিৎসা করালেও সেই অসুখ সারেনি।
শেষে মায়ের কাছে প্রার্থনা করায় শিশুর অসুখ সেরে যায়। তারপর থেকেই সরল বিশ্বাসে তারা শুরু করে দেন দেবীর পূজা। অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল সেদিন সুস্থ হয়ে উঠেছিল সেই শিশুটি। তারপর তৈরি করা হয়েছিল এই কালী মন্দির। ভক্তি এবং অভিজ্ঞতার মিশেলে এই মন্দির যেন হয়ে উঠেছে সর্বধর্ম সমন্বয়ের এক ক্ষেত্র।