দ্য ক্যালকাটা মিরর বুরো: কথায় আছে “বাঘের দেখা আর সাপের কাটা ” কপালে থাকলে কেউ খন্ডাতে পারে না । পেশায় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার দেবাশীষ সাহা ছবি তোলার নেশায় ঘুরে বেড়ান দেশ বিদেশে । কিন্তু বাড়ির কাছেই সুন্দরবনে যাওয়া হয়নি কখনো। বৃহস্পতিবারই প্রথমবারের জন্য আট জন ফটোগ্রাফার বন্ধু মিলে সুন্দরবনে যাওয়া। আর প্রথমবারেই তিন তিনটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দর্শন পেলেন সজনেখালির কাছে।তার লেন্সে ধরা পড়লো রয়েল বেঙ্গল টাইগারের কিছু সোনালী মুহূর্ত ।
সুন্দরবনে যে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে তা আমরা আগেই জেনেছি । আর গত একমাসে বার বার রয়েল বেঙ্গলের দেখা পাওয়াটা যে তারই ইঙ্গিত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। করোনা অতিমারী আর লকডাউনের জন্য সুন্দরবনে পর্যটকের সংখ্যা কমেছে প্রায় নব্বই শতাংশ । তাই এখন সুন্দরবনে গেলে বাঘ দেখার সম্ভবনাও প্রবল ।
কিছুদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছে এই বছরের বাঘসুমারির পরিসংখ্যান। এই বছর বাঘের সংখ্যা রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে সুন্দরবনে।বেড়েছে ৮টি বাঘ। এই গণনার তথ্য ঘিরে যথেষ্ট আশার সঞ্চার বকরেছে বন্য প্রাণী বিশেষজ্ঞ মহলে ।
গত বছরের বাঘ সুমারি অনুযায়ী বাঘের সংখ্যা ছিল ৮৮। সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬ টিতে । ২০১৬-১৭ সালে বাঘের সংখ্যা বেড়েছিল ৭টি। সেই রেকর্ড ভেঙে গেল এই বছর। পশ্চিমবঙ্গ বনমন্ত্রকের আশা আগামী বছর সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা পেরিয়ে যাবে একশোর মাইল ফলক। সুন্দরবন যে এখন বাঘেরদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না । বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধিতে বনদপ্তর যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে তা স্বীকার করছেন সকলেই ।