বারাসাতের বিখ্যাত কালীপুজোর ভিড় হার মানল শুক্রবার বারাসাত শহরজুড়ে মানুষের বাজার করার ধুমে

0
177

দ্যক্যালকাটা মিরর ব্যুরো :

“দিনের আলোয় ওই চারিদিকে মানুষের অস্পষ্ট ব্যস্ততা:
পথে-ঘাটে ট্রাক ট্রামলাইনে ফুটপাতে;
কোথাও পরের বাড়ি এখুনি নিলেম হবে— মনে হয়,
জলের মতন দামে।
সকলকে ফাঁকি দিয়ে স্বর্গে পৌঁছুবে
 সকলের আগে সকলেই তাই।” জীবনানন্দ দাস

কোভিড মোকাবিলায় শুরু হয়েছে লক ডাউন, মাঝে ছাড় শুক্রবার তাই ক্রেতার ঢল বাজারে।  বারাসাতের বিখ্যাত কালীপুজোর ভিড় হার মানল শুক্রবার বারাসাত শহরজুড়ে মানুষের বাজার করার ধুমের কাছে। স্বাস্থ্য নির্দেশিকার দফারফা। ভাইরাস মোকাবিলা, লক ডাউন এবং শুক্রবারের ভিড়ের অপকারী প্রভাব  মানুষ বুঝলেও তাঁরা পড়িমরি করে  বাজারে ছুটছেন এবং তাঁরাই আবার প্রশ্ন তুলছেন এবং নিজেরাই উত্তর দিচ্ছেন। সার্বিকভাবে নির্যাস মিলছে যে  শহরজুড়ে   একদিনের বেলাগাম  ভিড় কোভিড মোকাবিলার জন্য সার্বিক  লক ডাউনের মুল লক্ষ্যকে কুঠারাঘাত করে অর্থহীন করে তুলছে।

রাজ্যজুড়ে  স্বরাষ্ট্র সচিবের নির্দেশিকা মত রাজ্য সরকারের ডাকা সপ্তাহে দুবার  প্রক্ষিপ্ত লক ডাউন শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকেই। উত্তর চব্বিশ পরগনার সদর বারাসাতেও পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর সিদ্ধান্তক্রমে  সার্বিক  লক ডাউন শুরু হচ্ছে শনিবার।চলবে একটানা সাতদিন।  মাঝে ছাড় একদিনের অর্থাৎ শুক্রবার। এবং এই একদিনে ভিড় উপচে পড়ল বারাসাতের সব বাজারের আনাচে কানাচে। সম্ভবত সর্বকালের রেকর্ড ব্রেক করা জনতার ঢল দেখা গেল বারাসাতের বড় বাজার, হৃদয়পুর বাজার, ছোটো বাজার, হেলাবটতলা বাজার সহ যাবতীয় বাজারে। মুদিখানাতেও উপচে পড়া ভিড়।

মানুষ শুক্রবার অন্ধকার কাটতে না কাটতেই ভিড় জমায় বারাসাতের বিভিন্ন  বাজারে ।এক ক্রেতার ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস ফেলে অপর ক্রেতার সবজি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, আনাজ ও আমিষ ক্রয় চলল দীর্ঘ সময় ধরে।  তবে নিয়ন্ত্রণহীন ভিড়ের ফলে বেলা বাড়তে না বাড়তেই অনেক বাজারেই বিক্রেতাদের দেখা গেল অল্পসময়ের মধ্যে সব শাক সবজি নিঃশেষ করে বাড়ি ফিরতে। হাজার হাজার  ক্রেতাও বিভিন্ন বাজার থেকে  সাতদিনের জিনিস মজুত করে একে একে সাতদিনের জন্য সংসারের  দ্রব্য মজুত করছেন বাড়িতে।  হয়তো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সঙ্গে ঘরে ঢুকবে ভাইরাস। অথচ পৌরসভা জানিয়ে দিয়েছিল ভ্রাম্যমান সবজি ও আমিষ পৌঁছে যাবে পাড়ায় পাড়ায়। প্রশাসনের কোভিড মোকাবিলার সময় পদক্ষেপের ক্ষেত্রে  নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের যোগান নিয়ে মানুষ ভরসা করে নি প্রশাসনকে।  পৌরসভা আগাম জানান দিলেও মানুষকে সচেতন করতে তাঁরা ব্যর্থ তার প্রমান দিল শুক্রবার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here