

দ্য ক্যালকাটা মিরর ব্যুরো : আজ থেকে ঠিক এক মাস আগেই নদীয়া জেলার অন্তর্গত শান্তিপুর ব্লকের বিঘের পর বিঘে চাষের জমি গঙ্গা ভাঙ্গনে তলিয়ে গিয়েছিলো। ঘটনাটি ঘটেছিল বেলঘড়িয়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের বিহারীয়া মঠপাড়ায়।
ভাঙনের এই ঘটনা রাতারাতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে উঠে আসে। তৎপর হয়ে ওঠে জেলা প্রশাসন। ওই দিন সমস্যার সমাধানে আক্রান্ত অঞ্চলে তড়িঘড়ি উপস্থিত হয়েছিলেন জেলাশাসক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, মহকুমা শাসক, বিডিও, সেচ দপ্তরের আধিকারিক সহ বিভিন্ন মহলের প্রশাসনিক কর্তা-ব্যক্তিগন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে নিয়ে প্রশাসনের তরফে বাঁশের খাঁচা, বালির বস্তা দিয়ে তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থা গৃহীত হলেও এলাকাবাসীর বক্তব্য তা সাময়িক এবং গঙ্গার ভাঙ্গন প্রতিরোধে যৎসামান্য ব্যবস্থা মাত্র।
ক্যালকাটা মিরর কে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান; মাত্র ১১৯ টা বাঁশের খাঁচা আর কয়েক বস্তা বালি দিয়ে যে বাঁধের ব্যবস্থা করা হয়েছে এই ভাঙ্গন রোধ করা তার কাজ নয়। গঙ্গার এহেন ভয়ংকর ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজন বড়োসড়ো সরকারি প্রকল্প রূপায়ণ। সেক্ষেত্রে বোল্ডার ফেলে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য আজ ভোর পাঁচটা নাগাদ কৃত্তিম বাঁধের একেবারে পাশের দুই অঞ্চলে আবারও ভাঙ্গন শুরু হয়। অঞ্চলের অভিজ্ঞ বাসিন্দারা গঙ্গার জলের ঘূর্ণন এবং গতি প্রকৃতি দেখে অনুমান করছেন আগামী দু-একদিনের মধ্যে আবারও তলিয়ে যেতে চলেছে বেশ কয়েক বিঘা জমি।
গ্রামবাসীদের ক্ষোভ, বারবার করে জানানো সত্ত্বেও এ ব্যাপারে স্থানীয় পঞ্চায়েতের কোনো উত্তর মেলেনি, এমন কী কোনো প্রতিনিধির উপস্থিতিও নজরে আসেনি। এলাকাবাসীদের দাবি একমাত্র সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচারিত হলে তবেই আসে স্থানীয় প্রশাসন। তারা অনতিবিলম্বে এই সমস্যার সাধু সমাধান চাইছেন।