Durga Puja: হিন্দু শাস্ত্রের অন্যতম চিরাচরিত এবং লোকায়ত দেবী দুর্গা। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই ঢাকের শব্দে গমগম করে উঠবে বাড়ির আশপাশ। শিউলি ফুলের গন্ধে আর আগমনীর সুরে দুর্গাপুজোর আবাহন সূচিত হবে। কিন্তু জানেন কি, দেবী দুর্গার বোধন কেন রাতের বেলায় হয়। কালিকা পুরাণে রয়েছে এর মাহাত্ম্যের কথা। রাবণকে বধ করবার জন্য রামচন্দ্র শুরু করেছিলেন যে বোধন তার নাম অকালবোধন। আদতে দেবী দুর্গার মূল পূজা সম্পন্ন হতো বসন্তকালে।
নিশীথে দেবীর বোধন:
বসন্তকালে দেবী বাসন্তী রূপে তিনি পুজিত হতেন ধরাধামে। যেহেতু শরৎকালে দেবীর পূজা শুরু করেন অযোধ্যাপতি রাবণ, তাই একে বলা হয় অকালবোধন। ভৌগলিক মতে শরৎকালে বিশুব রেখা থেকে সূর্য ক্রমশ দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হয়। আবার শাস্ত্র অনুযায়ী এই ছয় মাস দেবতাদের কাছে কেবল এক রাতের সমান। এই সময় দেবতারা ঘুমিয়ে থাকেন। দেবী দুর্গা, তখন মহাদেবের সাথে নিদ্রাচ্ছন্ন ছিলেন।সেই নিদ্রা থেকে দেবীকে জাগিয়ে তুলে তার বোধন করেছিলেন রামচন্দ্র। তারপর থেকেই রাতের বেলায় দেবীর বোধনের প্রথা চালু হয়ে যায়।
রাবণ বধের কাহিনী:
রামচন্দ্রকে রাবণ বধ করতে দেবী দুর্গার বোধন করেছিলেন স্বয়ং প্রজাপতি ব্রহ্মা। রাতেই প্রজাপতি ব্রহ্মা এই বোধন করেছিলেন। শাস্ত্রমতে ব্রহ্মার আবেদনে সারা দিয়ে বেল গাছের তলায় কুমারী রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন একটি বেল পাতার মধ্যে। তাই বোধনের সময় অত্যাবশ্বকীয় উপাদান এই বেল পাতা। বেল গাছের তলাতেই ষষ্ঠীর দিন দেবীর আরাধনা করা হয়। এরপর একে একে চলে সপ্তমীর নবপত্রিকা স্নান অষ্টমীর অঞ্জলি নবমী পূজো এবং দশমীর বিসর্জন। ঐতিহ্যের সাথে সাথে দূর্গা পুজোর আবহে যুক্ত হয়েছে শাস্ত্রীয় ও পৌরাণিক নানা নিয়ম।