The Calcutta mirror desk: পুরানে দেবী দুর্গার বাহন হিসেবে দেখা হয় সিংহকে। সিংহ আসলে তেজ এবং জেদের প্রতীক। হিমালয় রাজ স্বয়ং তার মেয়েকে এই সিংহ উপহার দিয়েছিলেন। মহিষাসুরকে বধ করবার সময় এই সিংহ নিয়েই যুদ্ধ করতে গিয়েছিলেন দেবী সিংহবাহিনী। ১০ টি হাতে অস্ত্র সজ্জীতা দেবী। এই সিংহ নিয়েই এক আশ্চর্য কাহিনী রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার ধান্যকুরিয়ার সাহুদেব বাড়ির দুর্গাপুজোর। এরা ছিলেন জমিদার। কথিত আছে বহু বছর আগে বাড়ির এক বধু চুল খুলে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন সন্ধ্যাবেলায়। এরপর থেকে হঠাৎ যেন কোথায় হারিয়ে যান ওই গৃহবধূ। তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত সিংহের কাছ থেকে বেরিয়ে এলো উত্তর। সারারাত খোঁজাখুঁজি পর ধরে বেলায় এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখেন গ্রামের লোকজন থেকে বাড়ির লোকেরা। সিংহের মুখে লেগে রয়েছে একটি কাপড়ের টুকরো। শেষ পর্যন্ত ওই বধুর অন্তর্ধান রহস্য প্রকাশিত হয়। বোঝা যায় বিশেষ এক অপরাধ করে ফেলেছিলেন তিনি তার শাস্তি পেতে হয়েছে তাকে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে পড়ে তৈরি হয় নানান গুঞ্জন। মাটির সিংহ কখনো একজন জলজ্যান্ত মহিলাকে গিলে খেতে পারে। এদিকে এই ঘটনা স্মরণ করে প্রতিবছর দেবীর বাহন সিংহের মুখে শাড়ির টুকরো লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে অনেকে গ্রামের জনশ্রুতি বলে এড়িয়ে গেলেও আজও এই ঘটনা নিয়ে রয়েছে নানান রকম মিথ। তবে আজও ধান্যকুড়িয়ার এই জমিদার বাড়ির বউরা একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট রঙের কাপড় পড়ে মায়ের কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে আসেন। পূজোর পাঁচ দিন চুল খুলে ঘোরেন না কেউ।