কলকাতা থেকে গিয়েছে বেনারসি, জলপাইগুড়ির বড় দেবীর পাতে পড়বে ইলিশ থেকে চিংড়ি

0
62

The Calcutta mirror desk: দুর্গাপুজো সর্বজনীন। গ্রামবাংলা থেকে শহর বিভিন্ন প্রান্তে এই দুর্গা পূজার ঐতিহ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। উত্তরবঙ্গের তুলনায় দক্ষিণবঙ্গে দূর্গা পুজোর পরিমাণ বেশি হলেও উত্তরবঙ্গের মেঠো ঐতিহ্যের সাথে মিলেমিশে রয়েছে এই দুর্গাপুজো। ঠিক তেমনি জলপাইগুড়িতে দুর্গাপুজোর সঙ্গে মিলেমিশে রয়েছে নানান আবেগ। জলপাইগুড়ি রাজবাড়িতে বোধন হয়ে গিয়েছে শনিবার রাতেই কারণ তিথি অনুযায়ী শনিবার রাতেই শুরু হয়েছে ষষ্ঠী। রবিবার বেলতলায় করা হয় ষষ্ঠী পুজো। যাবতীয় রীতি-নীতি মেনে এই পূজোর আয়োজন করা হয়। বর্তমানে রাজাও নেই নেই রাজত্ব। তবুও এখনো রয়ে গিয়েছে ঐতিহ্য। রবিবার বট পাকুরের পুজো করা হয়। রাজবংশী সমাজের রীতি মেনেই পুজো করা হয় গ্রামের সমস্ত দেবতার। এরপরে সন্ধ্যায় দেবীকে আমন্ত্রণ করা হবে । দেবীর অধিবাসের আয়োজন করা হবে। জলপাইগুড়ি রাজবাড়ির মা দুর্গা এবার কলকাতার বেনারসিতে সেজে উঠবেন। লক্ষ্মী এবং সরস্বতী বেনারসি এসেছে কলকাতার বড়বাজার থেকে। ধুতি পাঞ্জাবিতে সাজানো হয়েছে কার্তিক এবং গণেশকে। রাজবাড়ী দুর্গা, তিনটি দিন তিনটি শাড়ি পড়েন। একটি ছাপা শাড়ি অন্যটি দেওয়া হয় রাজ পরিবারের তরফ থেকে। চক্ষুদানের সময় দেবীকে অন্য একটি শাড়িতে সাজিয়ে তোলা হয়। রবিবার থেকেই জলপাইগুড়ি রাজবাড়ির এই দুর্গাপুজোর সূচনা প্রায় হয়েই গিয়েছে। ৫১৬ বছরের এই পুজো। জলপাইগুড়ির রাজবাড়ির পুজোর ঠাকুর দেখেই মূলত ঠাকুর দেখা শুরু করেন এখানকার সাধারণ মানুষ। মহালয়ার চক্ষুদানের মধ্য দিয়েই রাজবাড়িতে শুরু হয়ে যায় পুজোর আমেজ বৈকুণ্ঠ মন্দিরে আসেন সোনার দুর্গা। নরবলি দিয়েই নাকি এক সময় শুরু হয়েছিল এই পুজো তবে কালের নিয়মে বদলে গিয়েছে যাবতীয় নিয়ম। সপ্তমী অষ্টমী নবমী এবং দশমীতে বলি দেওয়া হয় চারটি পাঁঠা। পায়রা বলির সময় মন্দির চত্বরে বাইরের লোকজনকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। রাজ পরিবারে সদস্য এবং পুরোহিত রাই উপস্থিত থাকেন। এছাড়া করলা নদীর বোয়াল মহাশোল চিতল ইলিশ চিংড়ি কচু শাক পুটি মাছ ভাজা এবং শাপলার ঝোল দেওয়া হয় মাকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here